সর্বশেষ

» সন্ত্রাসী হামলায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আখালিয়ার আফিয়া বেগম ও তার পরিবার

প্রকাশিত: ০৬. সেপ্টেম্বর. ২০২২ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক::  সিলেটের আখালিয়া নতুন বাজার এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা, শ্লীলতাহানি,ভাংচুর,লুটপাট ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।

০৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৈয়দ রাগীব আলী মিলনায়তনে সপরিবারে উপস্থিত হয়ে রাখা দীর্ঘ বক্তব্যে ও মামলার এজাহারে আফিয়া বেগম দাবী করেন যে ১ নং বিবাদী গিয়াস মিয়া এলাকায় প্রভাবশালী লোক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৫/০৮/২০২২ তারিখে গিয়াস মিয়া(৪০), রাব্বি (১৮), আব্দুল মজিদ(২৮) ও আজিদ(২০) সহ অজ্ঞাত আরো চার পাঁচজন মিলে ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭:০০ টার দিকে দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্রসস্ত্র সহকারে আমার বসতঘরে এসে হামলা চালায়। একপর্যায়ে ১ নং বিবাদী গিয়াস মিয়া হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে আঘাত করে ঘোরতর জখম করে। ২ নং বিবাদী রাব্বি হাতে থাকা ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আমার ছেলে রাব্বিকে উপুর্যুপরি আঘাত করিলে তার দুই হাত কেটে যায়। তখন আমার ছেলেকে রক্ষা করতে আমি ও আমার বউমা এগিয়ে এসে বাঁধা দিলে সকল বিবাদীরা মিলে আমাদের কাপড় টানা হেছড়া করে আমাদের শ্লীলতাহানি ঘটায় ও আমাদেরকে লাঠি-সোঁটা দিয়ে মারধর করতে থাকে। ১ নং বিবাদী আমার বৃদ্ধ মায়ের কোলে থাকা ১৮ মাস বয়সী নাতি নাবিলা ইসলামকে জোর করে ধরে এনে তার কোমরে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তারা আমাদের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও ২ নং আসামী রাব্বি আমার বউমা সুবর্ণা আক্তারের গলায় পরিহিত আনুমানিক চল্লিশ হাজার টাকা মূল্যের আধা ভরি স্বর্ণের একটি চেইন চিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ১ নং আসামী শোকেসের ড্রয়ারে রক্ষিত গাড়ী কেনার ১৫,০০০০ টাকা নিয়ে যায়, বলেও দাবী করেন ভুক্তভোগী আফিয়া বেগম। তিনি জানান বিবাদীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ ভয়ে কথা বলতে চান না। থানায় এজাহার দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তিনি বলেন আমি অসহায় একজন মানুষ, ছোটখাটো একটি চাকুরী করে কোনোরকম জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু বিবাদীদের উৎপাতে আমার পরিবারের স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চরম অনিরাপত্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। ভুক্তভোগী আফিয়া বেগম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930