নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী
চেম্বার ডেস্ক:: নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে স্কুল মাঠে টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় ৩০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতরা নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ চলাকালে একটি টিয়ারশেল স্কুল মাঠে এসে পড়ে। টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় অচেতন হয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁদের নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কলেজের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ ফোন কল রিসিভ করেনি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ স্কুল মাঠে একটি টিয়ারশেল এসে পড়ে। এতে মাঠে খেলতে থাকা আমাদের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই আমরা পুলিশ সুপারকে ফোন দেই। কিন্তু তিনি আমাদের ফোন কল রিসিভ করেননি। পরে অসুস্থদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে হানীকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। তীব্র শ্বাসকষ্টে ছটফট করছে সে। তার মা ও হাসপাতালের নার্সরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। পরে দ্রুত তাকে ইমার্জেন্সি রুম থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। একইভাবে দশম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশাকেও রাখা হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্টে। সে অচেতন ছিল দীর্ঘসময়। জ্ঞান ফিরে আসার পর কিছুটা উন্নতি হয়েছে তার।
আয়েশার মা বলেন, ‘স্কুলের মাঠে আমার মেয়ে খেলছিল। হঠাৎ টিয়ারশেল এসে পড়লে আমার মেয়েসহ আরও অনেক বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যায়। কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে শিক্ষকরাই তাদের হাসপাতালে এনে আমাদের ফোন দেয়। এসে দেখি মেয়ের এই অবস্থা।’
এ বিষয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বেশ কিছু স্কুল শিক্ষার্থী টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছে। তাদের অক্সিজেন সেবার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’