অনেক দেশের চেয়ে আমরা এখনো ভালো আছি: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

চেম্বার ডেস্ক:: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা এখন একটি যুদ্ধের মধ্যে আছি। সারা পৃথিবীর প্রতিটি দেশই যুদ্ধ করছে। আমরাও এর বাইরে নই। তবে অনেক দেশের চেয়ে আমরা এখনো ভালো আছি। যেহেতু আমাদের নিজেদের খাদ্য আছে, নিজেদের কিছু সম্পদ আছে। অনেক দেশ খুবই সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অবিচল থাকলে এ ধরনের বিপদ-আপদ থেকে পার হতে পারব।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় জ্বালানিনিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, যুদ্ধের (ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ) মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তাতে বাংলাদেশও বাইরে নয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যাপারে যত বেশি সাশ্রয়ী হওয়া যায়, সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

জ্বালানি ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, জ্বালানিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্বই এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় জ্বালানি খাত একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অগ্রগতি অব্যাহত রাখা হবে। এ জন্য তিনি সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

জ্বালানি তেল আমদানির কাজটি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব তুলে ধরেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে এ ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান, বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মোছা. মোর্শেদা ফেরদৌস।