আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির তিনদিন ব্যাপী ভর্তি মেলার উদ্বোধন
চেম্বার ডেস্ক:: আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মানব সম্পদ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাঙ্গনকে আরো এগিয়ে নিতে আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি দেশের শীর্ষ ইউনিভার্সিটির সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা পরিচালনা করছে। শিক্ষা ব্যবস্থা আরো গতিশীল করতে শিক্ষক, অভিভাবকদেরকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাবে। কর্মবান্ধব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা অর্জন করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো শিক্ষা প্রদান করে এই ইউনিভার্সিটি। তিনি শিক্ষা বান্ধব দেশ ও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারের পাশাপাশি সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ড. আহমদ আল কবির ২৩ জুলাই শনিবারে সকালে সিলেটে নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ২০২২ সালের সামার সেমিস্টারে তিন দিন ব্যাপী ভর্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি ড. আহমদ আল ওয়ালী, ভর্তি মেলার আহবায়ক ও ইউনিভার্সিটির ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা মোঃ মাজেদ আহমেদ চঞ্চল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবিদুর রহমান, সীমান্তিকের চেয়ারপারর্সন মোঃ শামীম আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেটের ডাক’র চীফ রিপোর্টার সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট নারী নেত্রী সাজনা সুলতানা হক চৌধুরী, সীমান্তিকের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোঃ পারভেজ আলম, সীমান্তিক টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফ তাপাদার, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মোঃ ইফজাল চৌধুরী, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের প্রধান ও ডীন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ, সিএসই ডিপার্টমেন্টের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল আউয়াল আনসারী, ইইই ডিপার্টমেন্টের প্রধান সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহমুদুল আলম মিয়া, এপ্লাইড হেলথ্ এন্ড নিউট্রিশন ডিপার্টমেন্টের প্রধান ড. নজরুল ইসলাম ও ফ্যাশন ডিজাইন ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুশিবা খানম (সমো) এবং প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক আবু ছয়ীদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহ অন্যান্য ফ্যাকল্টিবৃন্দ।
ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক নুসরাত রিকজার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এ. এম. মাহি তাপাদার ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন ফাল্গুনী দেব পান্না। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও আরটিএমআই-এইচআরডিসি’র শিল্পীগণ।
অনুষ্ঠানের বিগত ভর্তি মেলায় ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে লটারীর মাধ্যমে ১০জন বিজয়ীকে ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন সহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক গেজেট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। ১ম পুরস্কার ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী হুমায়রা ফেরদৌস আনিকা ল্যাপটপ এবং ২য় পুরস্কার ইইই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী হায়দার মোঃ ফাইয়াজ হোসেন শাহী স্মার্টফোন অর্জন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয় যে, সিলেটের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এডমিশন ফেয়ার উপলক্ষে স্পট এডমিশনে ৫০% ওয়েভার সহ শর্তসাপেক্ষে শতভাগ স্কলারশিপেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও দরিদ্র, মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ভর্তি ফিতে শতভাগ ওয়েভার ও স্কলারশিপের ব্যবস্থাও রয়েছে।
উলেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় তথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন- ইউজিসি’র নির্দেশনা শতভাগ প্রতিপালনক্রমে আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ইইই, সিএসই, বিবিএ, ইংলিশ, ফ্যাশন ডিজাইন, এমবিএ, ইএমবিএ, এমপিএইচ প্রোগ্রামে শিক্ষাদান করা হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে সকলকে অবহিত করা হয়। এছাড়াও খুব শীঘ্রই এই ইউনিভার্সিটিতে এম.এড প্রোগ্রাম চালু হবে বলেও বক্তাগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বিশ^ অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনা করে আরো বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও সাবলম্বী জনশক্তি হিসেবে শিক্ষার্থীদেরকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি এডমিশন ফেয়ার ও পরবর্তী সময়ে এই ইউনিভার্সিটি কার্যক্রম পরিদর্শনর জন্য অভিভাবক, সাংবাদিক ও সুধী সমাজের প্রতি আহবান জানান।
আধুনিক ও সমকালীন পাঠ্যক্রম ও প্রযুক্তি নির্ভর মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত পেশাজীবি তৈরির দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত এই ব্যাতিক্রমী ইউনিভার্সিটির ২য় ভর্তি মেলা ২৫ জুলাই শেষ হবে।