সিলেটে ‘পদ্মা সেতু বিপুল সম্ভাবনার অর্থনীতি ও অন্যান্য’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও লেখক সংবর্ধনা
চেম্বার ডেস্ক::
প্রথিতযশা প্রবীণ নাট্যকার, সাহিত্যিক, রম্যরচনাকার বরেণ্য অধ্যাপক সুনির্মল কুমার দেব মীন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। তিনি সমগ্র বিশ্বের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে বলেন, আমি, আমরা, আমাদের শ্রম ও আমাদের নিজস্ব অর্থায়ণে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবো। তিনি তাই করেছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বাঙালিরা সবকিছু পারেন। তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, সিলেটে অনেক গুণীজন আছেন যারা অবহেলিত ও অনাদৃত। কিন্তু কম্পিটিশনে কেউ যদি এসে দাঁড়ায় তাহলে আমরাও বলতে পারি দেশের জন্য জান কোরবান করতে পারবো। আমরা বলতে পারি, আমরাও পারি। তার প্রমাণ ডা: স্বাপ্নীল। কবিতার ছলে তিনি বলেন, সেই প্রতিযোগিতায় ও গুনীজনের মধ্যে আমাদের ডা.স্বপ্নীলও আছেন। স্বপ্নীল সময় সুযোগ বুঝে পদ্মা সেতুকে নিয়ে বই লিখেছেন। ডাক্তারি পেশার পাশাপাশি চমৎকার এই লেখনীর জন্য তাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। তিনি তাঁর বক্তব্যে চর্যাপদের প্রসঙ্গ টানেন এবং নিজেকে জানার কথা বলেন। তিনি বলেন, নিজেকে জানলে আল্লাহকে জানা যায়। তাই নিজেকে জানতে হবে। সেই নিজেকে জানার কাজটি স্বপ্নীল করে যাচ্ছেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুরোধে একটি গান পরিবেশনা করেন এবং সবার সুস্থতা কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই ) বিকাল ৪ টায়
মির্জাজাঙ্গালস্থ হোটেল নির্বাণা ইনে বিশ্ব কবিমঞ্চ সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের নবম বই “পদ্মা সেতু বিপুল সম্ভাবনার অর্থনীতি ও অন্যান্য’ গ্রন্থের শুভ মোড়ক উন্মুচন ও লেখক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব কবিমঞ্চ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ডা. শামসুননুর মানবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অন্নপূর্ণা দেব আঁখির পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দীন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, বিশ্ব কবিমঞ্চ আগরতলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমিতা বর্ধন, কবি ও শিক্ষাবিদ নন্দিতা ভট্টাচার্য্য আগরতলা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন
জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, রজত কান্তি গুপ্ত,
জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি তাহমিন আহমদ, বিশ্ব কবিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক কবি পুলক কান্তি ধর, কবি চন্দ্র শেখর দেব, কবি ধ্রুব গৌতম।
বক্তব্য প্রদান করেন সংবর্ধিত অতিথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান, হেপাটোলজি বিভাগের সদ্য-সাবেক চেয়ারম্যান, সম্প্রীতি বাংলাদেশ’এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি প্রথমেই সম্মানিত সকল অতিথিবৃন্দ, ভারত থেকে আগত অতিথিবৃন্দ, আয়োজক বিশ্ব কবিমঞ্চ সহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বিগত একবছর থেকেই সিলেটে আসছি। কথায় আছে, ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে।’ মোড়ক উন্মোচন বইয়ের সাথে আপনারা একটি ইংরেজী বই ও পত্রিকা পেয়েছেন। কেন পেয়েছেন? আসলে সেখানে আমার পরিচয় ও আমি যে লিভার বিশেষজ্ঞ, সাবেক লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন বিভাগের প্রধান সেইসব কাজের বিস্তারিত রয়েছে। তিনি যে সিলেটি কুট্টি সেই কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরাই লিভার ক্যান্সারের সকল আধুনিক চিকিৎসা শুরু করেছি। ইতিমধ্যে চিকিৎসা সেবাকে আরও প্রসারিত করতে ‘জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট’ উদ্বোধন করা হয়েছে । যা কোনো রাজনৈতিক উদেশ্যে নয়। শুধু লিভার ক্যান্সার সহ লিভার সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরি করতে এটি উদ্বোধন করা হয়েছে। তাছাড়া সিলেট ল্যাবএইডে ‘স্বপ্নীল লিভার সেন্টার’ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তিনি ডাক্তারি করার পাশাপাশি কিভাবে লেখালেখি করেন তা তুলেন এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের কথাও ব্যক্ত করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যতবারই উনার সাথে দেখা হয়েছে ততবারই , তিনি বলেছেন, এলাকায় যাও, এলাকায় যাচ্ছো না কেন? এলাকার মানুষদের সেবা করো। উনার কথাই পৈত্রিক এলাকা সিলেটে এসে মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি৷ এখানে মেয়র ও এমপি হওয়ার জন্য আসি নাই। আমাদের নেতৃবৃন্দরা আছেন, উনারা উনাদের নেতৃত্বে আগামী সংসদ নির্বাচনের বৈতরণি পার করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বিজয় উপহার দিবেন। উপস্থিত সকলের সুস্থতা কামনা করে তিনি বক্তব্যের ইতি টানেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রশিদ আহমদ, অন্নপূর্ণা গুপ্ত, গীতিকবি শাহ আলমগীর, প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী লিংকন, সামন্ত ধর, দেবশ্রী ভট্টাচার্য্য, কানাই লাল দত্ত, রসময় ভট্টাচার্য, সুচেতা চৌধুরী, মামুন আহমদ, সিরাজুল ইসলাম মিরাজ, নসু ভৌমিক, তন্ময় চক্রবর্ত্তী, ডাঃ মাসুদ আলম, কবি রুহি, কামাল আহমদ, ডাঃ রাশেদুল ইসলাম, দৈনিক ভোরের ডাক এর সিলেট জেলা প্রতিনিধি এম.এ হান্নান, সৃষ্টি ভট্টাচার্য, নিলুফা ইসলাম প্রমুখ।
মোড়ক উন্মোচন ও লেখক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিবৃন্দরকে উত্তীয় পরানো হয় এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।