সিলেটে শিক্ষামন্ত্রী – ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা করে সংস্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা করে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সোমবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউসে জেলার শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে বই দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে খেয়াল রেখে ঘাটতি পূরণে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা করে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। দ্রæত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের উপযোগী করতে কাজ করা হবে।
সভায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক নিগ্রহ রোধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহŸান জানান দীপু মনি। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এক শ্রেণির মানুষ দেশ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে সব প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি কিংবা শিক্ষক নিগ্রহ করা হচ্ছে। এসব ঘটনার প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ধর্ম শিক্ষার বিষয় নিয়েও অপপ্রচার চলছে। তবে নতুন এই শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে ধর্মশিক্ষা আরও প্রসারিত হবে। শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে শুধু ধর্ম বিষয়টি পড়বেই না, চর্চাও করতে শিখবে। তবে অনেকে বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ধর্মশিক্ষা আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও নিশ্চয়ই থাকবে। ধর্ম তো আমাদের নৈকিতা, মূল্যবোধ শেখার মূলক্ষেত্র। কাজেই ধর্মশিক্ষা আছে, থাকবে। অন্যান্য বিষয়ের মতো ধর্মশিক্ষাও এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে শুধু পড়ে মুখস্ত করাই নয়, সেটাকে যেন বুঝে আত্মস্থ করে, চর্চা করে। কাজেই ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে শিক্ষা মূল হাতিয়ার। এ জন্য শিক্ষার রূপান্তর প্রয়োজন, শিক্ষার নতুন কারিকুলাম চালু করা প্রয়োজন। মন্ত্রী জানান, ‘সারাদেশে ৬২টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলামের পাইলটিং চলছে। এর মধ্যে সিলেটের তিনটি প্রতিষ্ঠান আছে।’
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যা কিছু করা প্রয়োজন, তা করার আশ্বাস প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সিলেটের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান খান, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান রমা বিজয় সরকার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানসহ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।