আগস্টে আরেকটি ভয়াবহ বন্যা হতে পারে, তবে সরকার প্রস্তুত: কৃষিমন্ত্রী
চেম্বার ডেস্ক:: আগস্টে আরেকটি ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জসহ ১২টি জেলায় ফসলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।কৃষি মন্ত্রণালয় সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছে।
আমরা ব্যাপক পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। একইসঙ্গে নাবী জাতের (লেইট ভ্যারাইটি) ধান চাষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষিতে বন্যা, খরা ও সাইক্লোনসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে কৃষিখাতে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) নিয়ে পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব তথ্য জানান।
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সংস্থা প্রধান এবং কৃষি-শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, চাল আমদানির ফলে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাজার স্থিতিশীল রাখতেই সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টার্গেট আছে।
সেই পরিমাণ চাল দেশে এসে গেলে আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা প্রতিদিনই নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাণিজ্য, খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় একত্রে কাজ করছে।
কাজেই চাল আমদানির ফলে দেশীয় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চালের দাম চাহিদা-সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। তবে সিন্ডিকেট করে অনেকে বেশি মুনাফা করার চেষ্টা করেন।
এদেরকে নিবৃত্ত করার জন্যও চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমদানির ফলেই চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। আমার ধারণা, দাম কিছুটা কমেছে। দেশে ধানের অবৈধ মজুত সন্ধানে অভিযান থেমে যায়নি বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।