সিলেটে বন্যা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল: মন্ত্রী ইমরান
চেম্বার ডেস্ক:: সিলেটে বন্যা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। তবে এজন্য সরকারকে দোষ দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জানতো না যে এত বড় বন্যা আসবে।
আজ সোমবার (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ‘সিলেট অঞ্চলে ঘন ঘন বন্যা: কারণ, পুনর্বাসন ও স্থায়ী সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সিলেটের বন্যা নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার অভাব ছিল, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে এখানে সরকারের দোষ দেওয়া যায় না। প্রতি বছর যদি এমন বন্যা হতো আর যদি সরকার প্রস্তুত না থাকতো, তাহলে আমি নিজেই দোষ দিতাম।
তিনি বলেন, অনেকেই বন্যায় নৌকার ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসলে যারা নৌকার মালিক, তারাও তো বন্যার নিচে তলিয়ে গেছেন।
ইমরান আহমদ বলেন, প্রতি বছর এমন বন্যা আসবে না, এটা বলা যাবে না। বন্যা আসবে এমনটি ধরেই প্রস্তুতি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের দিকে তাকাই। সরকার কী করে। পরবর্তী কার্যক্রম হলো পুনর্বাসন। আমাদের সেদিকে তাকাতে হবে।
বন্যায় সাধারণ মানুষের সহায়তা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা বন্যার্তদের জন্য খাবার পাঠান, তারা সুশৃঙ্খল ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খাবার পাঠান কিংবা তাদের পুনর্বাসনের জন্য টাকাটা জমা করে রেখে দেন। বিচ্ছিন্নভাবে খাবার পাঠানো আসলে সমাধান নয়।
সরকার সিলেটের বন্যায় ব্যথিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেভাবে এই বন্যাকে অনুভব করছে, সরকারও সেভাবেই অনুভব করছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
সভায় বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, পদ্মা সেতু প্রকল্প বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য ড. এম ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের ভূতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতীন উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আইসিডির পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম, রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ।