সর্বশেষ

» পদ্মা সেতুতে নাট-বল্টু খোলা সেই যুবকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর

প্রকাশিত: ২৮. জুন. ২০২২ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:  পদ্মা সেতু‌র রেলিং থেকে নাট-বল্টু খুলে সারা দেশে ব্যাপক আলোচিত হওয়া পটুয়াখালীর বায়েজিদ তালহা মৃধার গ্রা‌মের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চা‌লি‌য়ে‌ছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৭ জুন) বিকেল ৫টার দি‌কে সদর উপজেলার লাউকা‌ঠি ইউনিয়‌নের তে‌লিখালী গ্রা‌মের মৃধা বাড়িতে এ ঘটনা ঘ‌টে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, বায়েজিদ পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলার পর পরই সবাই জানতে পারে যে তার বাড়ি পটুয়াখালী। পরে সবাই খোঁজ-খবর নিতে থাকে। এক পর্যায়ে আজ বিকেলে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে এসে বায়েজিদের ঘ‌রে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

এ সময় বায়েজিদের মেঝ ভাই মো. সোহাগ মৃধার স্ত্রী হাদিজা খাতুন ও তার মেয়ে ফা‌তিমাতু‌জ্জোহরা উপস্থিত থাকলেও দুর্বৃত্তদের দেখে তারা পাশের ঘরে আশ্রয় নেন। হামলার সময় দুর্বৃত্তরা বায়েজিদের ভাইয়ের মোটরসাই‌কেল‌টিও ভাঙচুর করে।

 

বায়েজিদের মেঝ ভাই সোহাগ মৃধা পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেন। তবে ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

বায়েজিদের ভাবি হাদিসা আক্তার বলেন, বিকেলের দিকে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ঘরে ছিলাম। এ সময় রামদা, কুড়াল নিয়ে অনেক ছেলে একসঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করলে আমরা ভয়ে পাশের ঘরে পালিয়ে যাই। আমার ঘরের বেড়া কোপাইছে এবং ঘরের মালামাল ভাঙচুর করছে।

লাউকাঠি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, বায়েজিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের কথা আমি শুনেছি। পুলিশ ও সাংবাদিকরা গেছিলেন। কারা হামলা করেছে কেউ চিনতে পারেনি।

 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বড় কোনো ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

 

প্রসঙ্গত, পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক মো. আলাউদ্দিন মৃধা ও পিয়ারা বেগম দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বায়েজিদ ছোট। বড় ছেলে সিপন মৃধা খুলনা কাস্টমস রেভিনিউ অফিসার ও মেঝ ছেলে সোহাগ মৃধা পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের কম্পিউটার অপারেটর।

 

বায়েজিদ বর্তমানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত। তবে বায়েজিদ ঢাকায় থাকায় স্থানীয়ভাবে তেমন পরিচিত নন। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে গ্রামের বাড়ি আসলেও দুই-একদিন থেকে আবারও ঢাকায় ফিরে যেতেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930