কানাইঘাটের বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রতিদিন ছুটছেন ইউএনও সুমন্ত ব্যানার্জি
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি প্রতিদিন কানাইঘাট উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বানবাসী মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিন বন্যায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে সরকারের বিভিন্ন দফতরে পাঠাচ্ছেন নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি। কোথাও গাড়ী নিয়ে আবার পায়ে হেটে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে নৌকা নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুঃখ, দুর্দশার কথা শুনছেন তিনি।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়ার পর থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম, দিঘীরপাড়, সাতবাঁক, বড়চতুল, কানাইঘাট সদর, দক্ষিণ বাণীগ্রাম, ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি এসব এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া কয়েক’শ পরিবারের মধ্যে নিয়মিত ভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী জনপ্রতিনিধি সাথে নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় দফার বন্যায় কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উপজেলার ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন বন্যার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে তিনি জেলা প্রশাসক স্যার সহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে পাঠাচ্ছেন। সার্বক্ষণিক ভাবে তিনি প্রতিটি ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বন্যার্ত মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন। সরকারি ত্রাণ সামগ্রী যাতে করে সঠিক ভাবে বণ্টন হয় এজন্য সার্বিক বিষয় তিনি তদারকি করছেন। আজ সোমবার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ও ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি এ দু’টি ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন, দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার লোকমান উদ্দিন, ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার আবু বক্কর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ।
নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বন্যার্ত মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে তিনি ব্যাতিত ও তাদের সীমাহীন কষ্টের বিষয়টি কেউ না দেখলে বিশ^াস করতে পারবে না। তবে সরকার বন্যার্ত মানুষের পাশে রয়েছে বলে তিনি ইতিমধ্যে কানাইঘাটে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়ার পর ৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নগদ টাকা দিয়ে হাজারো ব্যাগ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনদের প্রতিদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী দেয়ার পাশাপাশি অনেক সামাজিক ও এনজিও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও আশ্রয় কেন্দ্রে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আরো ত্রাণ সামগ্রী আসবে বলে জানান এবং বন্যার পানি কমার সাথে সাথে পুনবার্সন প্রক্রিয়া হাতে নেয়ারপাশাপাশি ভাঙন কবলিত সুরমা ডাইকগুলি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান।