সর্বশেষ

» বিদ্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব করলে খুশি হবে ভারত : জয়শঙ্কর

প্রকাশিত: ২০. জুন. ২০২২ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ৭ম যৌথ পরামর্শক কমিশনের বা জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। বৈঠকের শুরুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘উপ অঞ্চলের এ বিশাল অংশের সমৃদ্ধি ও সংযুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিস্তারিত তুলে ধরে এস জয়শঙ্কর বৈঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারত একত্রে বিবিআইএন মোটরযান চুক্তি নিয়ে কাজ করছি। এ ছাড়া উপ আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় দুই দেশ বিদ্যুৎ বিশেষ করে জল বিদ্যুতের সহযোগিতার বিষয়টি দেখছি। এ অঞ্চলে বাংলাদেশ ও ভারতই বিদ্যুতের সবচেয়ে বেশি উৎপাদক ও ভোক্তা। বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে পারলে ভারত সন্তুষ্ট হবে।’

শুরুর বক্তব্যে বাংলাদেশের উত্তরের বন্যার বিষয়টি তুলে ধরে ভারতের সংহতি ও সহযোগিতার কথা বলেন এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘আমাদেরও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত বন্যা ব্যবস্থাপনার জন্য তথ্য বিনিময় করে। বন্যা ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা সুনির্দিষ্ট কোনো পথ থাকলে তাতে সহযোগিতা করতে রাজি রয়েছে ভার।’

রোববার (১৯ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার জেসিসি বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময়ে শীর্ষ নেতৃত্বের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন তাঁরা।

করোনা মহামারির পর এটিই প্রথম সামনাসামনি জেসিসি বৈঠক। এর আগে ২০২০ সালে ভার্চ্যুয়াল দুই দেশের মধ্যে জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রোববারের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। করোনা মহামারি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কানেকটিভিটি, জ্বালানি, পানি সম্পদ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

এর আগে রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে নয়াদিল্লি পৌঁছান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় দুই দেশের মধ্যে জেসিসি বৈঠক হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (২০ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় ৬ নম্বর মাওলানা আজাদ রোডে ভারতের উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। দুপুর ৩টা ১৩ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ছাড়বেন তিনি।

৮ম জেসিসি বৈঠক ২০২৩ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ।
image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30