কানাইঘাটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ছে পানি
কানাইঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সাবির্ক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। শত শত বাড়ি ঘরে বন্যার পানিতে আক্রান্ত হওয়ায় পানিবন্দী মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র সহ বিভিন্ন উঁচু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। প্রত্যন্ত এলাকার সমস্ত জনপদে বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারনে গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। আজ শুক্রবার কানাইঘাট সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১২৮ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও হাওর অঞ্চল দিয়ে পানি হু হু করে বাড়ার কারনে ৯নং রাজাগঞ্জ, ৮নং ঝিঙ্গাবাড়ী, ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের সমস্ত গ্রামীণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়াও ৬নং সদর, কানাইঘাট পৌরসভা, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম, ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ দুর্বিষহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিহ্ন রয়েছে। নৌকার অভাবে প্রত্যন্ত এলাকার পানিবন্দী মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে ঝুঁকি নিয়ে জীবন যাপন করছেন। পানিবন্দী প্রত্যন্ত অঞ্চলের আটকেপড়া মানুষদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসন সহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
প্রথম দফায় বন্যায় কানাইঘাট পৌর এলাকার পানি বেশি থাকলেও এবারের বন্যায় হাওয়রাঞ্চল দিয়ে হু হু করে পানি বাড়ার কারনে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মানুষজন। কানাইঘাট-দরবস্ত সড়ক দিয়ে আরো বেশি স্রোতে পানি প্রবাহিত করার কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিহ্ন রয়েছে এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল দিনভর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম, বড়চতুল ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
এদিকে কানাইঘাটের সাতবাঁক ইউনিয়নের জয়পুর নয়াগ্রামে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ নয়াঠাকুরেরমাটি গ্রামের নাজির উদ্দিনের পুত্র আলমাছ উদ্দিন (৩০) এর লাশ গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে সে মারা যেতে পারে।