কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি, সিলেটের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিহ্ন
কানাইঘাট প্রতিনিধি : টানা ভারি বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় বারের মতো সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কানাইঘাট সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৩৬ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সরকারি ভাবে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য ৪০ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার টাকার শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী স্ব স্ব ইউনিয়নে পাঠানোর পর বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন ও লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বন্যা দুর্গত এলাকায় বানবাসী মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মাও. জামাল উদ্দিন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।
টানা ভারি বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গত বুধবার থেকে কানাইঘাট উপজেলায় বন্যার পানি বাড়তে থাকে। সুরমা নদীর ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন ডাইক এলাকা দিয়ে প্রবল শ্রোতে পানি প্রবেশ করায় গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। শত শত বাড়ি ঘরে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব, ৫নং বড়চতুল, কানাইঘাট পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। কানাইঘাট-চতুল-দরবস্ত ও কানাইঘাট-সুরইঘাট সড়কের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সিলেট শহরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিহ্ন রয়েছে।
প্রথম দফায় ভয়াবহ বন্যার পানি কমতে না কমতে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়ায় শত শত মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।