সর্বশেষ

» ২ বছরের মধ্যে ডিজিটাইজড হবে দেশের বিচারিক ব্যবস্থা: পলক

প্রকাশিত: ১১. জুন. ২০২২ | শনিবার

চেম্বার ডেস্ক:: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের জুডিশিয়াল সিস্টেমকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর, আরও স্বল্পসময় ও কম খরচে যেন মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়া যায় এবং বিচারক ও আইনজীবী সহজে বিচারিক কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে ২ হাজার ২২৪ কোটি টাকার ‘ই-জুডিশিয়ারি’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

আজ শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দেশের উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতসমূহের বিচারিক সেবা ও তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া সহজকরণে অনলাইন কজলিস্ট, জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং মাইকোর্ট অ্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার কোর্টরুম ডিজিটালাইজ করা হবে। আদালতে অডিও রেকর্ডিং পুল সিস্টেম থাকবে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল টার্মিনাল করা হবে। এছাড়া ১৪টি সেন্ট্রাল জেল ডিজিটাল করা হবে। আসামিরা যেন জেল থেকে শুনানিতে অংশ নিতে পারে এজন্য ৯টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৬৪টি জেলা কারাগারে ক্যামেরা ট্রায়াল রুম করা হবে। গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে বৈঠক অ্যাপস ব্যবহার করা হবে। বিচারিক তথ্যের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে জেআরপি’র অধীনে সুপ্রিম কোর্টে একটি ফোর টায়ার ডেটাসেন্টার স্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান।

ডিজিটাল ইকো সিস্টেম গড়তে ৩টি বিষয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে পলক বলেন, গত ১৩ বছর ধরে আইসিটি উপদেষ্টা আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ভেরিফায়েবল আইডি, ট্রাঞ্জেকশন প্লাটফর্ম ও ইন্টার অপারেবল প্লাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে করোনা কালে এগুলোকে জোড়া লাগিয়েই আমরা অনলাইনে ও অফলনাইনের সব কাজ সচল রাখতে পেরেছি। মাত্র দুই মাসের মধ্যে ভার্চুয়াল কোর্ট ইন্ট্রুডিউস করা সম্ভব হয়েছে।

পলক বলেন, ডিজিটাল বিচারিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিচারকদের ২ হাজার ল্যাপটপ, অফিস স্ট্যাফদের জন্য ডেস্কটপ এবং ৭৫ হাজার আইনজীবী ও বিচারকদের  প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমসহ প্রত্যেকটি বার অ্যাসেোসিয়েশনে একটি করে সাইবার ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটুআই, ইউএনডিপি ও আইসিটি বিভাগ মিলে এ অবকাঠামোগুলো তৈরির পর এই অর্থবছরে বিচার ও স্বাস্থ্য বিভাগে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, কোনো দেশকে অনুকরণ করে নয়; আমাদের এটুআই, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট, আইন ও বিচার বিভাগসহ সবাই মিলে নিজস্ব একটি মডেল উদ্ভাবন করা হচ্ছে। আশা করছি স্বল্প খরচে নতুন একটি মডেল আমরা সারা বিশ্বে উপহার দিতে পারব।

এটুআই-এর কারিগরি সহযোগিতায় আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পক্ষে অনলাইন সিস্টেম তিনটির উদ্বোধন করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রীর উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড পজেটিভ হওয়ায় তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930