বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত

চেম্বার ডেস্ক:: স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে এবার মন্তব্য করলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার।

মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনীতিক সংবাদকর্মীদের সংগঠন ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী বাধ্যবাধকতার বাকি এখনো এক বছরের বেশি। যদিও এর মধ্যেই নির্বাচনী আমেজে উত্তপ্ত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। ক্ষমতাসীনসহ বিরোধীদলগুলোও ব্যস্ত ঘর গোছাতে। আছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বা ভোটগ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ।

 

এ অবস্থায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বললেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই এখানেও আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন নির্বাচন চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশে এরইমধ্যে নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বাংলাদেশের জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ দেশের জনগণ, সরকার ও সুশীল সমাজকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এটি ভালোভাবে সম্পন্ন করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।

 

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভয়-ভীতিহীন সাংবাদিকতা সম্পর্কে সব সময় উৎসাহ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও সেটি চায় যুক্তরাষ্ট্র।

 

এ প্রসঙ্গে পিটার হাস বলেন, মূলত, নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ। আশা করছি, নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে। নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাধীন সত্তা প্রয়োগ করবে। মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ছাড় দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী দেশটি মানবাধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আপস করবে না।

 

গণমাধ্যমকর্মীদের আরেক প্রশ্নের জবাবে এই কূটনীতিক বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সংকট সৃষ্টি হলেও বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।

 

এছাড়া, বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অভ্যন্তরীণভাবে খাদ্যের নিশ্চয়তা এবং অগ্রসরমান অর্থনীতির কারণে শ্রীলঙ্কা থেকে ঢাকা সম্পূর্ণ আলাদা অবস্থানে আছে বলেও মত এ মার্কিন কূটনীতিকের।

 

পিটার হাস জানান, অস্ত্র প্রযুক্তি হস্তান্তর চুক্তি-জিসোমিয়া এবং নৌ পরিবহনের ক্ষেত্রে-আকসার মতো দুটি চুক্তির খসড়া তৈরি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওয়ার্কিং কমিটি এদেশে আসবে।

 

এছাড়া, র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাটিকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা এবং দেশে মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।