শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, আমরা কি বসে বসে তামাক খাব? ওবায়দুল কাদের
চেম্বার ডেস্ক:: বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচি দিলে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, আমরা কি বসে বসে তামাক খাব? আগুন নিয়ে খেললে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের এক যৌথ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে দলটির এমন অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, বাধার কোনো বিষয় নয়, আমার সামনে নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) বলছেন, পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এই কথা শুনলে তরুণদের কি মাথা ঠিক থাকে। সন্ত্রাসীদের কি বাধা দেব না?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেবরা এসব স্লোগান শিখিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে ছাত্রলীগ কি চুপ করে বসে থাকবে? নেত্রীকে অপমান করা হচ্ছে। এই অপমান কি আমরা সইতে পারি? এসব কটূক্তির প্রতিবাদ ছাত্রলীগ করেছে।
ছাত্রদল দিয়ে বিএনপি আন্দোলন শুরু করবে দলটির এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরাও দেখব কত ধানে, কত চাল। সব কিছুর একটা শেষ আছে। বাড়াবাড়ি ভালো নয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেবেন আমাদের সামনে, আওয়ামী লীগ কি মরে গেছে? আমরা কি রাজপথ কাউকে ইজারা দিয়েছি? আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে এসেছে, রাজপথেই আছে।
আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস করলে জবাব রাজপথেই দেওয়া হবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, সে জন্য আপনাদের প্রস্তুত হতে, নেত্রীর নির্দেশে এ সভা ডেকেছি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময় সেতু ও আশপাশের এলাকার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। পদ্মা সেতু উদ্বোধন ২৪ ও ২৫ জুন সারাদেশেই উদযাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন তারিখ ঘোষণায় বিএনপির বিষ জ্বালা উপচে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন কাদের। বিএনপি ছাত্রদলকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করেছে। ক্যাম্পাসে কিছু ঘটনা তারা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য তার।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক; সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, মৃণাল কান্তি দাস, ওয়াসিকা আয়েশা খান, দেলোয়ার হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।