কানাইঘাটে ১৫-২১ জুন পর্যন্ত শুরু হচ্ছে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় আগামী ১৫-২১ জুন দেশব্যাপী জনশুমারি গৃহগণনা উপলক্ষ্যে কানাইঘাট উপজেলার শুমারি জরিপ কমিটির উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও পরিসংখ্যান অফিসের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ অবহিতকরণ সভায় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, জনশুমারির মাঠ পর্যায়ের সুপার ভাইজার এবং গণনাকারীরা উপস্থিতিতে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি বলেন, দেশের সঠিক পরিসংখ্যান তুলে ধরতে হলে নিভুর্লভাবে নিষ্ঠার সাথে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজে সম্পৃক্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি পরিবারে সঠিক তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছি, সেটি বাস্তবায়ন করতে হলে জনশুমারি ও গৃহগণনা সঠিকভাবে করতে পারলে দেশের প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা নির্ণয় করা যাবে। তিনি কানাইঘাটে আগামী ১৫-২১ জুন পর্যন্ত জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম সফল ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এর সাথে জড়িত সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের সহযোগিতা করার জন্য জনপ্রতিনিধি সহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত থেকে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক, কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুবল দাস, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ জিলানী, কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ চন্দ্র নাথ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা, কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন, সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তায়িব্য শামীম, বড়চতুল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক চৌধুরী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আফসর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার লোকমান উদ্দিন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন।
জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রমের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে উপজেলা জনশুমারি সমন্বয়কারী মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, ১৫-২১ জুন পর্যন্ত কানাইঘাট উপজেলার প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ট্যাব এর সাহায্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনশুমারি ও গৃহগণনা করবেন এর সাথে জড়িত উপজেলার ৯২জন সুপারভাইজার ও ৩১৪ জন মাঠ পর্যায়ের গণনাকারী। এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের অবহেলা বা তথ্য লুকানোর সুযোগ নেই। তিনি এক্ষেত্রে সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান।