৩১ মে’র পরিবর্তে ৫ জুন থেকে শুরু হজ ফ্লাইট: ধর্ম মন্ত্রণালয়

চেম্বার ডেস্ক:: সৌদি কর্তৃপক্ষ শাহজালালে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করতে না পারায় ফ্লাইটের সময়সূচী পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী ৩১ মে’র পরিবর্তে ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুরোধ জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৩ মে) বিমান ও পর্যটন সচিবের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে জানানো হয়, ‘সৌদি সরকারের রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এবারের হজে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবগামী শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের ইমগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩১ মে প্রথম হজ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি সব ধরনের প্রস্তুতিও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হয়। কিন্তু আজ (সোমবার) রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের বাস্তবায়নকারী সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এসে জানান যে, রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের জন্য ৪০ জন জনবলসহ সৌদি টিম ঢাকায় আগামী ২ জুন এর আগে এসে পৌঁছাতে পারবে না।

 

‘প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস/যন্ত্রপাতি এখনো ঢাকায় এসে পৌঁছেনি। এ সব ডিভাইস/যন্ত্রপাতি উল্লেখিত সৌদি টিমের সঙ্গে ঢাকায় আসবে। ওই যন্ত্রপাতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইন্সটল করতে হবে। এতে কিছু সময় লাগবে। ফলে আগামী ৫ জুনের আগে তাদের পক্ষে ঢাকা থেকে হজযাত্রীদের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ৩১ মে প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু করা হলে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের হজযাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রথম হজ ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ডেডিকেটেড ফ্লাইট এবং ঢাকায় প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার স্বার্থে ৩১ মে’র পরিবর্তে আগামী ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু করা প্রয়োজন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩১ মে’র পরিবর্তে আগামী ৫ জুন থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।