সর্বশেষ

» এবার গণকমিশন নেতাদের অর্থের উৎস খোঁজার দাবিতে দুদকে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ২৩. মে. ২০২২ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশনের অর্থের অনুসন্ধানের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামিক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশ। দুই সপ্তাহ আগে ওই গণকমিশন দেশের ইসলামি বক্তা ও আলেমদের ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ উল্লেখ করে ১১৬ আলেমের বিরুদ্ধে দুদকে শ্বেতপত্র জমা দিয়েছিল।

এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে আজ সকালে দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর কাছে গণকমিশনের অর্থের অনুসন্ধানের দাবিতে স্মারকলিপি দেয় ইসলামিক কালচারাল ফোরাম।

সংগঠনটির উপদেষ্টা মিজানুর রহমান চৌধুরী ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা নাজমুল হকের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদক সচিবের কাছ এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের পর ইসলামিক কালচারাল ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা নাজমুল গণকমিশন নেতাদের সম্পদের উৎস দুদককে খতিয়ে দেখার দাবি করে বলেন, কওমি মাদরাসা ও আলেমদের বিরুদ্ধে গণকমিশনের দেওয়া অভিযোগ ভিত্তিহীন।

ইসলামিক কালচারাল ফোরামের পক্ষ থেকে যে তিনটি দাবি জানিয়ে দুদকে স্মারকলিপি দেওয়া হয় সেগুলো হলো, ১৯৯২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়-ব্যয়ের হিসাব ও তহবিলের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান। দ্বিতীয়ত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দের নামে থাকা সম্পদের উৎস ও আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পর্কে অনুসন্ধান৷ এবং বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশন’ এর শ্বেতপত্রসহ অতীতে তাদের প্রকাশিত শ্বেতপত্রের আর্থিক জোগান ও আয়-ব্যয় সম্পর্কে অনুসন্ধান।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক) এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের নিজস্ব উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত কথিত ‘গণকমিশন’ গত ১২ মে ১১৬ আলেমকে ধর্মব্যবসায়ী উল্লেখ করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়।

এ ব্যাপারে ইসলামী কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এভাবে আইনি ভিত্তি না থাকার পরও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। অতীতে একাধিকবার মনগড়া গণকমিশন গঠন করে। গবেষণার নামে উসকানিমূলক নানা তথ্য দিয়ে দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার হীন চেষ্টা করেছে।

তিনি আরও বলেন, অতীতে তাদের এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এই সুযোগে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে ‘মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ শীর্ষক আরেকটি কমিশন গঠন করে। এই কমিশন বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক একটি বিশাল শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। এ কাজে তাদের বিশাল অর্থ খরচ হয়েছে। আইনি ভিত্তিহীন এমন কাজে তাদের পানির মতো অর্থ খরচের বিষয়টি স্বাভাবিক মনে হয় না।

সংগঠনটির দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, গণকমিশনের আয়ের উৎস, অর্থের জোগানদাতা, আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। বিশেষ করে দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস না থাকার পরও গণকমিশনের নেতৃবৃন্দের বিলাসী জীবন যাপনেরর প্রেক্ষিতে বলা চলে, তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষের হয়ে কাজটি করেছে। তাই দুদকের প্রতি আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, গণকমিশনের সচিবালয় কাদের অর্থে পরিচালিত হয়, কারা কেমন সুবিধা ভোগ করেন, সেখানে সন্দেহজনক কোনো লেনদেন হয় কি না তা খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যেগ নেবেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930