সিলেটে আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিবস উদযাপন ও কোভিড-১৯ গবেষক সন্মাননা

সিলেটে এবার প্রথম বারের মতো পালন করা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিবস’। রোববার সকালে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের মেডিকেল এডুকেশন ইউনিট এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট) এর যৌথ আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিবস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের মেডিকেল এডুকেশন ইউনিটের সভাপতি প্রফেসর ডাঃ অয়েস আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ডাঃ সোমা সরকারের সঞ্চালনায় উইমেন্স মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডাঃ মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী।
সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উইমেন্স মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ খন্দকার আবু তালহা। সেমিনারে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা প্রফেসর ডাঃ শাহানা ফেরদাউস চৌধুরী ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ মোঃ ইসমাইল পাটোয়ারি। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^ বিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট) এর গবেষণা বিভাগের প্রফেসর ডাঃ শামিম আহমেদ ও প্রফেসর ডাঃ জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ডাঃ কে এম আশিক এলাহি।
সেমিনার শেষে কোভিড-১৯ গবেষকদের সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সম্মাননা তুলে দেন প্রধান অতিথি সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডাঃ মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী। সন্মাননাপ্রাপ্ত গবেষকরা হলেন, শাহাজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ডাঃ শামিম আহমেদ ও প্রফেসর ডাঃ জাকির হোসেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ডাঃ জাবেদ জিল্লুর বারী, শহিদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের ডাঃ জেডএইচএম নাজমুল আলম, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডাঃ মোঃ ইসমাইল পাটোয়ারি এবং ডাঃ খন্দকার আবু তালহা।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডাঃ মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেনে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মেডিকেল গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মেডিকেল গবেষণায় যে কোন নতুন ঔষধ বা যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অত্যাবশ্যকীয়। প্রতি বছর ২০শে মে আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিবস পালিত হয়ে থাকে। সিলেটে দিবসটি পালন একটি মাইলফলক। যে কোন দুর্যোগে চিকিৎসকগণ জাতির সেবক হিসেবে কাজ করে আসছেন। আমাদের চিকিৎসকদেরকে চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে। করোনাকালে চিকিৎসকের সর্বোচ্চ সেবা বিশ^ব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি