সর্বশেষ

» হজের প্রাক-নিবন্ধন সারা বছর চালু থাকবে: ধর্ম মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ০৯. সেপ্টেম্বর. ২০২০ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: পবিত্র হজে গমনের জন্য প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারা বছর চালু থাকবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন কর্তৃক পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী বছর হজে গমনের জন্য প্রাক-নিবন্ধনের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০’ শিরোনামে যে সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয়। হজে গমণের জন্য প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারা বছর চালু থাকবে।

এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলা হয়, ২০২১ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে হজে গমনের জন্য প্রাক-নিবন্ধন কিংবা চূড়ান্ত নিবন্ধনের টাকা উত্তোলন করেননি; তারা আগামী বছর (২০২১) হজ পালনে অগ্রাধিকার পাবেন। আর যারা টাকা উত্তোলন করে ফেলেছেন তাদের আগামী বছর হজে যেতে নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার হজে যতে না পারলেও করোনা পরিস্থিতি উন্নতিসাপেক্ষে আগামী বছর হজ পালনের আশায় অনেকেই প্রাক-নিবন্ধন করছেন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৬২ হাজার ৩২০ জন প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৩৬০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৬০ জন।

বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে এ বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। তবে অনেকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন শেষ করে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। এর মধ্যে অল্পকিছু হজযাত্রী তাদের টাকা ফেরত নিয়ে নিবন্ধন বাতিল করেছেন। অন্যরা আগামী বছর হজে যাওয়ার আশা করছেন।

বর্তমানে ৬২ হাজার ৩১০ জনের চূড়ান্ত নিবন্ধন রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ১০৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৯ হাজার ২১০ জন।

করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের (২০২০) হজ কার্যক্রমে সৌদি আরবে অবস্থানরত মুসলিম ছাড়া অন্যকোনো দেশের কেউ অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি। সীমিতসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে হজ সম্পন্ন হয়েছে। এখনও উমরার কার্যক্রম শুরু হয়নি। কবে নাগাদ শুরু হবে তাও জানা নেই। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন আর হজ পালনে কোনো বাধা থাকবে না। এমন প্রত্যাশা নিয়ে অনেকেই প্রাক-নিবন্ধন করছেন।

২০২০ সালে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী, এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশির হজযাত্রীর কোটা পেয়েছিল। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত ছিল।

সৌদি আরবে করোনা পরিস্থিতির জন্য দেশের সব কিছু ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মসজিদে নববীসহ দেশে নব্বই হাজার মসজিদ নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও মক্কার মসজিদে হারাম খুলে দেওয়া হয়নি, সেখানে সীমিত পরিসরে জামাত ও জুমা চলছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930