বন্যায় জনতার পাশে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুনু মিয়া
বিশেষ প্রতিনিধি::
একজন মানবিক এসএম নুনু মিয়া। তিনি সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। জনগণের জন্য তাঁর টান অতুলনীয়। জনগনকে তিনি ভালবাসেন অন্তর থেকে। তাঁর মায়েরও আদেশ জনগনের জন্য কিছু করা। তাইতো জনগনের কষ্ট তিনি সইতে পারেন না। যেখানেই শুনেন জনগন কষ্ট পাচ্ছে সেখানেই দলবল নিয়ে ছুটে যান তিনি।
এখন বন্যায় কবলিত হয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি, খাজাঞ্চি ও অলংকারি ইউনিয়ন। তিন ইউনিয়নের চারদিকে বন্যার থৈ থৈ পানি। কোথাও হাঁটু সমান, আবার কোথাও কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে রাস্তা-বাড়িঘরসহ সব কিছু। মানুষের এমন দুরবস্থা দেখে সাথে সাথেই বন্যায় দূর্গত মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। প্রতিনিয়ত সরেজমিন গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন অসহায় মানুষদের। দিচ্ছেন ত্রাণ সহায়তা। কখনো জেলা প্রশাসকের সাথে, কখনো জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিক চৌধুরীর সাথে, আবার কখনো উপজেলা প্রশাসনের সাথে ত্রাণ বিতরণে অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। দুই দিন যাবৎ পানির মধ্যেই আছেন তিনি। পানিতে ভিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বন্যায় দূর্গত মানুষের। দিচ্ছেন ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা।
জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা এসএম নুনু মিয়া ২০১৯ সালের মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর থেকে উপজেলা পরিষদের নিয়মিত বরাদ্ধ থেকে তিনি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য ও উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি ইতিমধ্যে উপজেলায় নিরাপদ পানি ও স্যানেটেশন ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ৩৯ কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। এরপর গত ঈদুল ফিতরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ২ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য উপহার এনে বিতরণ করেছেন। এরআগে করোনা সংকটের সময়ও সরকারি নিয়মিত বরাদ্ধের পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আব্দুল মোমেন ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের মাধ্যমে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প এনে বাস্তবায়ন করেছেন। গত বুধবার বন্যায় দূর্গতদের জন্য দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীর মাধ্যমে ১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ এনেছেন।
বৃহস্পতিবার উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নে বন্যায় দূর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় এসএম নুনু মিয়া বলেন, মানুষের কষ্ট দেখলে আমার মনে আঘাত লাগে। আমার মায়ের আদেশ আমি যেন মানুষের সার্বিক উন্নয়নে নি:স্বার্থভাবে কাজ করি। মায়ের কথা রাখতেই আমি বিশ্বনাথের জনগনের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে চাই।