সর্বশেষ

» তত্ত্বাবধায়ক নয়, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৩. মে. ২০২২ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক:: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।

 

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কীটতত্ত্ব সমিতির ১১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক দেশে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- সেখানে কোথাও চলতি সরকার পদত্যাগ করে আরেকটি সরকার আসে না। সেভাবেই বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় থাকতেই নির্বাচন হবে।’

 

অতীতের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল, পারেনি। গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত ছিল। ২০১৮ সালেও এ ধরনের কথা বলেছিল, পরে নির্বাচনী ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং সব দলের জোট করে নির্বাচন করেছে। ফলাফল মাত্র পাঁচটি আসন। খালি কলসি বাজে বেশি। সুতরাং তাদের বলব, অনর্থক বাগাড়ম্বর না করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।

‘বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন করবে’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনের কথা আমরা গত ১৩ বছর ধরেই শুনে আসছি। যে দলের নেতারা মির্জা আব্বাসসহ পুরুষ হয়েও নারীর বেশে বোরকা পরে আদালতে জামিনের জন্য হাজির হয়, যাদের ওপর তাদের নেতাকর্মীদের আস্থা নেই, তারা কতটুকু কী করতে পারবে, তাদের শক্তি, সামর্থ্য, হিম্মত আমরাও জানি, জনগণও জানে। কিন্তু আন্দোলনের নামে তারা যদি বিশৃঙ্খলা, জ্বালাও-পোড়াও বা আগে যেভাবে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করেছে সেটি করার অপচেষ্টা করে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।

 

বিএনপির সভা-সমাবেশের অনুমতি মিলছে না, এ অভিযোগের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা অনেক সময়ই সভা-সমাবেশের অনুমতি নেয় না। আর সভা-সমাবেশে তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি-ভাঙচুর করে। এতে জনগণ আতঙ্কিত হয়, আর জনগণ আতঙ্কিত হলে সরকার তো বসে থাকতে পারে না।

 

পরে সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ কৃষি জমি রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, যত্রতত্র ইমারত নির্মাণের ফলে যেন কৃষি জমি নষ্ট না হয়। কৃষিক্ষেত্রে গবেষণা আমাদের শস্য উৎপাদনকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। উন্নয়নের পথে এই ধারা অব্যাহত থাকা আবশ্যক।

 

কীটতত্ত্ব সমিতির সভাপতি ড. সৈয়দ নূরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের পরিচালনায় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

 

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ কারিগরি প্রবন্ধ এবং কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930