কানাইঘাটে ট্রলি চালককে এলোপাতাড়ি মারপিট করে ১ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

কানাইঘাট প্রতিনিধি:: কানাইঘাটে এক ট্রলি চালককে মারধর করে গুরুতর আহত করার পর তার বেশ কিছু টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, কানাইঘাট পৌরসভার শিবনগর গ্রামে বসবাসরত মুহিবুর রহমানের পুত্র আলমাছ উদ্দিন (৩৫) রোববার দুপুরের দিকে তার নিজস্ব ট্রলি নিয়ে ইট কেনার জন্য যাওয়ার পথিমধ্যে বড়চতুল ইউপির বড়চতুল গ্রামের রবিউল হকের পুত্র মাতাব উদ্দিন তার সঙ্গী সুলেমান আহমদ, রুমান আহমদ, মাহবুব আহমদসহ আরও কয়েকজন শিবনগর থেকে তাদের একটি নৌকা ট্রলি গাড়ী দ্বারা রামপুরি খালে নিতে বলে।

তাদের কথামতো শিবনগর থেকে ডিঙ্গি নৌকা তার ট্রলিতে তুলে ফাটাহিজল মৌজার রামপুরি খালে পৌঁছিলে মাতাব উদ্দিনসহ তার সঙ্গীরা আলমাছ উদ্দিনের সাথে থাকা ইট কেনার বেশ কিছু টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় আলমাছ উদ্দিন টাকা দিতে না চাইলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে আলমাছ উদ্দিনের বাম চোখের উপর আঘাত করলে সে রক্তাক্ত জখম হয় এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র বাম হাতে উপর্যুপরি আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলে। আলমাছ উদ্দিনের চিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

ট্রলি চালক আলমাছের অভিযোগ, জনৈক মক্তার আহমদ তাকে ১ লাখ টাকা দিয়ে ব্রিক ফিল্ড থেকে ৭ হাজার ইট কিনে নিয়ে দেয়ার জন্য বলে এবং এই টাকাগুলো তাকে গুরুতর জখম করে মাতাব, রুমান, সোলেমান, মাহবুব, জাবের, মাসুক আহমদসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় উল্লেখিত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আলমাছ উদ্দিন বাদী হয়ে গত সোমবার কানাইঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার থানার সেকেন্ড অফিসার সোহেল মাহমুদ দুপুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় হাওর এলাকায় থাকা হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যায়।

থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল মাহমুদ জানান, ট্রলি চালক আলমাছ উদ্দিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে ঘটনাটি তদন্ত করেছি এবং তার উপর হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যায়। তাকে মারধর করা হয়েছে, তবে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে কি না বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।