ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনে স্পিকারের অস্বীকৃতি
চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার। গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনে আবারও বিরতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন বিরোধী দলীয় নেতারা।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরু হলেও এখন পর্যন্ত অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়নি। বরং বিভিন্ন অজুহাতে অধিবেশনে বারবার বিরতি দেওয়া হচ্ছে।
২০১৮ সালে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খান। করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সতেজ করা ও দুর্নীতিমুক্ত পাকিস্তান গড়তে তার ব্যর্থতার অভিযোগ করা হয়েছে।-খবর রয়টার্সের
আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের বিরোধীতা করেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে তিনি সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। যদিও এ বিষয়ে তিনি প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।
এদিকে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোট বিলম্বিত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পার্লামেন্টের অধিবেশনে হঠাৎ করে বিরতি দেওয়ার পর শনিবার (৯ এপ্রিল) এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
রাত ৯টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন ইমরান খান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবেক কিংবদন্তি এই ক্রিকেট তারকাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ার ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক সংকট নতুন মোড় নিয়েছে।
সরকারি এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকের এজেন্ডা আমার জানা নেই। আমাদের কেবল বৈঠকের আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে অনাস্থা ভোট বিলম্বিত করার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছিলেন ইমরান খানের দলের এক সদস্য। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যে কোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ইমরান খান।
শনিবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে বিরতি দেওয়ার আগে অনাস্থা ভোটের আয়োজনে স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করবেন বলে জানান স্পিকার আসাদ কায়সার।
২০১৮ সালে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খান। করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সতেজ করা ও দুর্নীতিমুক্ত পাকিস্তান গড়তে তার ব্যর্থতার অভিযোগ করা হয়েছে।
আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের বিরোধীতা করেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে তিনি সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। যদিও এ বিষয়ে তিনি প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।