হামলা-ভাঙচুর : কামরানের বাসায় মেয়র আরিফ
চেম্বার ডেস্ক:: নগরীর ছড়ারপার ও মাছিপুরবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষের সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসভবনে হামলা করে বাসার গ্লাস ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে কয়েক রাউন্ড গুলিও করা হয়েছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসভবনে ছুটে যান সিসিকের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। সেখানে গিয়ে তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং কামরানের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন।
জানা যায়, ৫ এপ্রিল মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে ছড়ারপাড় ও মাছিমপুরের দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়। এর জের ধরে বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মাছিমপুরের একদল লোক ছড়ারপাড়ে এসে হামলা চালায়। তখন তারা সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসার জানালা ও সামনে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করেন। অপরদিকে, মাছিমপুরের লোকজনের নিক্ষেপ করা ইটপাটকেলে ছড়ারপাড়ের কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, রাস্তার জায়গা নিয়ে কয়েকদিন ধরে ছড়ারপাড় ও মাছিমপুরের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। এর জের ধরে বুধবার উভয় পাড়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করা হচ্ছে। রাস্তায় ময়লা রাখা নিয়ে দুদিন আগে ছড়ারপার ও মাছিপুরবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরই জের ধরে বুধবারা রাতে দু’পাড়ার বাসিন্দাদের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে।
কোনো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ। সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত মো. ইয়াসিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি কিংবা কেউ গুরুতর আহত হয়নি। ইট-পাটকেল নিক্ষেপে দুপক্ষের ৮-১০ জন সামান্য আহত হয়েছেন।