সর্বশেষ

» সিসিকের বর্ধিত ৩৮ ও ৩৯ নং ওয়ার্ডের ঘোষিত সীমানা পুনর্বিন্যাসের দাবিতে শুনানি অনুষ্টিত

প্রকাশিত: ৩০. মার্চ. ২০২২ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: 

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত এলাকার ঘোষিত ৩৮ ও ৩৯ নং ওয়ার্ডের সীমানা নিয়ে আপত্তির শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ পুর্ব নির্ধারিত সময়ানুযায়ী এ শুনানি অনুষ্টিত হয়।এতে স্ব স্ব এলাকার আপত্তির বিষয়টি তুলে ধরেন লিখিত আপত্তিকারকদের পক্ষের প্রতিনিধিগন। এতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত এলাকার ৩৮ ও ৩৯ নং ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্বিন্যাসের জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছেন স্হানীয় জনগন। শুনানিকালে স্হানীয় জনগনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন এলাকার বিশিষ্টজনরা। এসময় তারা তাদের আপত্তির পক্ষে নানা যুক্তি উপস্হাপন করেন। শুনানিকালে তারা বলেন, সিসিকের নবগঠিত ৩৮ ও ৩৯ নং ওয়ার্ডের পুরো এলাকা সদ্য বিলুপ্ত সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়নের ১,২,৩,৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এলাকা।সিসিকের ঘোষিত ওয়ার্ডে বিভন্ন গ্রাম বা এলাকাকে দুই ওয়ার্ডে (আংশিক) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে,যাহা একটি গ্রাম,পাড়া অর্থাৎ একটি পঞ্চায়েতকে দুইভাগে বিভক্ত করায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আপত্তি শুনানিকালে তারা বলেন,টুকের বাজার এলাকা একটি প্রাচীনতম জনবসতি ও ঐতিহ্যবাহী এলাকা।এখানকার স্হানীয় অধিবাসীরা শত শত বছরের ইতিহাস ধারন করে পারিবারিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লালন করে আসছে। ঘোষিত ওয়ার্ডের মাধ্যমে এলাকাকে বিভাজন করে ওই এলাকার সামাজিক ঐক্য ও সংস্কৃতিকে বিভক্ত করা হয়েছে। তারা সদ্য বিলুপ্ত টুকেরবাজার ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের পুরো এলকা অর্থাৎ পুর্বে আখালীয়া ঘাট এলাকা থেকে শুরুকরে পশ্চিমে গৌরিপুর ঘোপাল পুর্ব পর্যন্ত এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে সিসিকের একটি ওয়ার্ড ও বিলুপ্ত টুকেরবাজার ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের পুরো এলাকা প্রয়োজনে ‘টিওর বাড়ি’ সহ পৃথক আরেকটি ওয়ার্ড গঠনের দাবি জানান,এতে এলাকার ভৌগলিক,সামাজিক ও ঐতিহ্যগতভাবে কোন বিভাজন বা বিভক্তি আসবেনা বলে বলে শুনানিতে তারা উল্লেখ করেন। স্হানীয় প্রতিটি এলাকার জনসাধারণ এদাবির স্বপক্ষে গণস্বাক্ষর করে এদাবি জানিয়েছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়। তারা জনস্বার্থে সিসিকের প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ৩৮ ও ৩৯ নং ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নতুন করে স্হানীয় জনগনের যৌক্তিক চাহিদানুযায়ী নতুন ওয়ার্ড সীমানা পুনঃনির্ধারনের দাবি জানানো হয়। শুনানি গ্রহন করেন সিলেট জেলা প্রশাসনের পক্ষে স্হানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ,সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সিসিকের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা। শুনানিতে এলাকাবাসীর পক্ষে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মকসুদ আহমদ মকসুদ,সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম,আমির উদ্দিন আহমদ, এডভোকেট ফারুক আহমদ,আলতাফ হোসেন সুমন,বিলুপ্ত টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য এনাম আহমদ,৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ ফরিদ মিয়া,৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ হাফিজুর রহমান, টুকেরবাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী হাজী নেফাজ উদ্দিন, মাষ্টার আব্দুল করিম,শামীম আহমদ,আখালীয়া ঘাট এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী কুতুব উদ্দিন,আবু কালাম আজাদ,ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031