রমজানে বিশেষ কার্ডে নিত্যপণ্য পাবে এক কোটি মানুষ: প্রধানমন্ত্রী

চেম্বার ডেস্ক:: বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রমজানে এক কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে নিত্যপণ্য।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে এ কথা বলেন সরকার প্রধান। রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপির অংশ না নেওয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, নেতৃত্ব সংকটে ভোগার কারণেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিএনপি।

দীর্ঘ ৩ বছরেরও বেশি সময় পর ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সকালে গণভবনে শুরু হওয়া বৈঠকে জোটের কর্মকৌশলের পাশাপাশি আলোচনায় ওঠে আসে সাম্প্রতিক বিভিন্ন পরিস্থিতি। বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টিও আলোচনায় ওঠান সরকার প্রধান।

এ সময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে বাংলাদেশের একার কিছু করার থাকে না। আর রমজানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এক কোটি মানুষের কাছে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে নিত্যপণ্য। রোজার সময় যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে৷

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় বিএনপির সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নেতৃত্ব সংকটে ভোগার কারণেই রাষ্ট্রপতির সংলাপে সাড়া দেয়নি তারা। নির্বাচনে বিএনপির কোনো নেতৃত্ব নেই বলে তারা কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে সাড়া দেয়নি; সেজন্যই তারা উল্টোপাল্টা বলেই যাচ্ছে৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার।

গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪ দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা।

২০০৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৪ দলীয় জোট। ওই সময় থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় জোটের শরিকরা।

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে শরিকদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। তবে সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় শরিক দলের কাউকে রাখা হয়নি। এরপর থেকেই নানা কারণে জোট শরিকদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। জোটের বৈঠক, দলের (শরিক দলসমূহ) বিবৃতি-বক্তৃতা এমনকি জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।