রোটারিয়ানদের উন্নয়নমূলক কাজে আমরা লাভবান হচ্ছি: মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী
চেম্বার ডেস্ক:: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, সিলেট নগরী পর্যটন, প্রবাসী অধ্যুষিত এবং আধ্যাত্মিক নগরী। এখানের নেতৃত্বে যারা আছেন সবার সহযোগিতা না পেলে এত উন্নয়ন সম্ভব ছিল না। বিশেষ করে রোটারি অঙ্গনের যারা আছেন এবং রোটারি ই ক্লাবের প্রেসিডেন্টের কার্যক্রম প্রশংসনীয় ।রোটারিয়ানদের উন্নয়নমূলক কাজে আমরা লাভবান হচ্ছি। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের যে-কোনো প্রয়োজনে রোটারিয়ানরা পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এর ফলে সমাজের সবাই রোটারি ক্লাবগুলোর ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে।
রোটারি ই ক্লাব এবং উপস্থিত রোটারিয়ানদের উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা সিলেট শহরের অত্যন্ত যে-কোনো একটি রাস্তা নেন। মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হচ্ছে না। আপনাদের যুবকরা যদি সপ্তাহে অন্তত দুই দিন রাস্তায় বের হয়ে পরিচ্ছন্ন করার কাজ করেন, তাতে করে অনেকে লজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি অনুসরণ করা শিখবে।
রোটারি ই ক্লাব ২০২০-২০২১ এর ফ্যামিলি নাইট ও অ্যাওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরীর একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে ২০২০-২১ এর ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফারেছ আহমদ চৌধুরী পিএইচএফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রোটারি ২০২০-২১ এর ডিস্ট্রিক্ট গর্ভণর ড. বেলাল উদ্দিন পিএইচএফ এমসি এমডি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মইন, পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গর্ভণর ও ডিস্ট্রিক্ট রোটারি ফাউন্ডেশন চেয়ার ড. মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গর্ভণর শহিদ আহমেদ চৌধুরী পিএইচএফ, পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গর্ভণর লে. কর্ণেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর পিএইচএফ।
ইভেন্ট চেয়ার পিপি মোশারফ হোসাইন জাহাঙ্গীর পিএইচএফের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন পাস্ট প্রেসিডেন্ট তোফায়েল আহমদ চৌধুরী,পিপি আহমদ রেজাউল করিম যোবায়ের ,
রোটাবর্ষ ২০২১-২১ এর ক্লাব সেক্রেটারির প্রতিবেদন পাঠ করেন রোটারি ই ক্লাবের ২০-২১ এর সেক্রেটারি রোটারিয়ান এনামুল হাসান খাঁন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে গ্রেট প্রেসিডেন্ট হিসেবে এওয়ার্ড প্রদান করা হয় রোটারি ২০২০-২১ এর ই ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফারেছ আহমদ চৌধুরীকে। ক্লাবের আরো সাত জন কে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রেসিডেন্ট এওয়্যাড প্রদান করেন ।শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রোটারিয়ান অ্যাডভোকেট আজিম উদ্দিন। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীতের পর রোটারি ইনভোকেশন পাঠ করেন রোটারিয়ান সিপি রাসেল মাহবুব ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. বেলাল উদ্দিন পিএইচএফ বলেন, ফারেছ আহমদ চৌধুরী মানবতার কল্যাণে কাজের জন্য গ্রেট ওয়ান প্রেসিডেন্টের স্বীকৃতি পেয়েছেন। মানুষের কল্যাণে রোটারির মাধ্যমে তাঁর কার্যক্রমগুলোকে অভিনন্দিত করছি। সারা বাংলাদেশের মধ্যে ১০জন গ্রেট রোটারি প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফারেছ আহমদ চৌধুরী অন্যতম।
প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মইন বলেছেন, সুন্দর এই আয়োজনে আমি অন্তত খুশি। ই-ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফারেছ আহমেদ চৌধুরী এবং রোটারী মহামারি দূর্যোগেও মানবতার কল্যাণে কাজ করেছে যা সত্যিই প্রসংশনীয় ।
সভাপতির বক্তব্যে ফারেছ আহমদ চৌধুরী বলেন, মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়েই রোটারি করি। রোটারির বাইরেও বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। নশ্বর পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার আগে মানব কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।
উক্ত অনুষ্ঠানে দুই শতাদিক রোটারিয়ান এবং গেষ্টদের উপস্থিতে অনুষ্টান কে প্রাণবন্ত করে তুলে ।