কানাইঘাটে এবাদ খুনের বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
চেম্বার প্রতিবেদক: সিলেটের কানাইঘাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে নিহত এবাদুর রহমানের খুনের ঘটনার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার(১ মে) বিকালে সাংবাদিক ফখরুল ইসলামের ডাকে গাছবাড়ী আইডিয়্যাল ডিগ্রী কলেজের মূল ফটকের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।
এই কর্মসূচি থেকে হত্যা মামলার মূল আসামিসহ সকল আসামীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে যোগ দেয়- ‘আমার কানাইঘাট’ অনলাইন গ্রুপ, রক্তাঙ্গন গ্রুপ গাছবাড়ী, ৭ নং দক্ষিণ বাণী গ্রাম অনলাইন ফোরাম, কানাইঘাট উপজেলা প্রবাসী কল্যাণ ঐক্য পরিষদ (সৌদিআরব), নিজ গাছবাড়ী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, আগফৌদ নারাইনপুর শাহজালাল সমাজকল্যাণ যুব সমিতি, মিয়াগুল দূরন্ত সমাজকল্যাণ সংস্থা, আল ইসলাহ সেবা সংঘ লামাঝিংগাবাড়ী, বন্ধুমহল, সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ কমিটি, লামা দলইকান্দি সমাজ কল্যাণ সমিতি, সসছ দিশারী সংঘ।
সাংবাদিক ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যু্বনেতা মহিউদ্দিন জাবেরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা এবাদুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও ঘটনাটি গভীরভাবে খতিয়ে দেখার জন্য জোর দাবি জানান তারা।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, নিহত এবাদুর রহমানের অবুঝ ছেলে মেয়ের নিরাপত্তার জন্য আওয়াজ তুলতে হবে, ভরণ পোষণসহ তাদের জীবনের সকল নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মেট্রোসিটি উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপাল আআহমদ সালেহ বিন মালিক, গাছবাড়ী পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক লোকমান উদ্দিন, গাছবাড়ী সামিট মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মখতার আহমদ, গাছবাড়ী নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মিসবাহ উদ্দিন, জমিয়ত নেতা মহিউদ্দিন, ব্যবসায়ী আব্দুল খালিক খালিদ, ৭ নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়ন অনলাইন ফোরামের সদস্য জাবেদ মুন্না, ছাত্রনেতা সেলিম আহমদ, ইফজাল চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য,৩০ এপ্রিল বৃহ:স্পতিবার সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার ৭ নং দক্ষিণ বাণীগ্রামের ছত্রপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে এবাদুর রহমান (৪০) এর বাড়িতে গিয়ে কৌশলে তাকে ডেকে এনে পুকুরপাড়ে তার উপর প্রতিপক্ষের লোকেরা অতর্কিত হামলা চালায়।হামলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সময় তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়। নিহত এবাদুর রহমানের ছোট ছোট চারটি কিশোর ও অবুঝ ছেলে-মেয়ে রয়েছে।