সর্বশেষ

» ঘুষ কেলেঙ্কারি: বাছিরের ৮ বছর ও মিজানের ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ২৩. ফেব্রুয়ারি. ২০২২ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: ঘুষ নেওয়ার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পুলিশের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে রায় শুনতে সকাল সাড়ে ১০টায় মিজান ও বাছিরকে কারাগার থেকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়।

গত ৩ জানুয়ারি আসামি মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাছিরকে আদালতে হাজির করলে আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে বিচারক তাদের কাছে সাফাই সাক্ষী দেওয়ার বিষয়ে জানতে চান। এ সময় আসামিরা সাফাই সাক্ষী না দিলেও লিখিত বক্তব্য জমা দেবেন বলে আদালতকে জানান। এজন্য তারা সময়ও চান।

এরপর ২৪ জানুয়ারি একই আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে দুদক। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

মামলার তদন্ত চলাকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।

এ অভিযোগ ওঠার পর বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

 

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালত দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেন। এরপর গত ১৯ আগস্ট মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও বাদি দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

 

উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬-এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বিচার চলছে। গত ২০ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930