নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফের বেড়েছে পেঁয়াজসহ সহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের। সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর বাজারে আবারও বেড়েছে সবজি, ব্রয়লার মুরগি, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজের দাম। বিপরীতে কমেছে মাঝারি আকারের চাল, রসুন ও হলুদের দাম।
শুক্রবার নগরীর কালিঘাট, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, চিনি ও ডিমের। সিলেটে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আমদানী করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে বাজারে দাম বেড়েছে মোটা চালের। প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা। চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৬৫ টাকা।
শুক্রবার নগরীতে দাম বেড়েছে তেলের। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ১৪৬ থেকে ১৫৩ টাকা। বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৮ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি ছিল ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাক।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা।
সিলেটে দাম বেড়েছে সবজির। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, ফুলকপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকাজ। বাজারে ছোট ফুলকপি না থাকায় দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের প্রতি পিস ফুলকপির দাম দাড়াচ্ছে ৭৫-১০০ টাকা। সাইজভেদে পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৫০ টাকা পিস। করোলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। গাজর কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা। টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।