নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ, দগ্ধ বেশিরভাগই আশঙ্কাজনক
চেম্বার ডেস্ক:: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় মসজিদের এসি বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের বেশিরভাগেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে মসজিদের ভেতরে থাকা এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হন অনেকে। এদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন দগ্ধ হন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করছে।
নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাজমুল হোসেন জানান, রাত ৯টা থেকে একের পর এক রোগী আসছিল। তাদের সবার নাম লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। যেসব রোগী এসেছে তাদের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ জন এসেছিল। তাদের কয়েকজনের শরীরে ৯৯ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মসজিদের সামনের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের এসিও বিস্ফোরণ ঘটে।
এ সময় মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় মসজিদে থাকা মুসল্লিদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকেন। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লিদের চিৎকার। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু জানান, ঘটনার পর দগ্ধ রোগীদের ১০০ শয্যা হাসপাতালে আনা হলে একজন রোগীকেও ধরে দেখা হয়নি। তাদের হাসপাতালের ফ্লোরে বসিয়ে রাখা হয়। পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
তিনি আরও জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ভেতরে একের পর এক লোকজন পড়ে আছেন। ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা গরম তেল ভেতরে পড়ে।