সর্বশেষ

» আগে বাড়িতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করুন : খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২. ফেব্রুয়ারি. ২০২২ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: সবার আগে যার যার বাড়িতে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

 

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সবস্তরে আমাদের সচেতনতা ও ইচ্ছের ঘাটতি রয়ে গেছে। উৎপাদনকারী-প্রস্তুতকারীরা বাড়তি মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছেন। সরকার খাদ্য নিরাপদ করতে যেসব আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতার প্রচার-প্রচারণা করছে সেগুলো তারা কানে নিচ্ছে, কিন্তু মনে নিচ্ছে না।

 

খাদ্য প্রস্তুতকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ব্যবসা করছেন, লাভ করুন। কিন্তু সেটা সততার সঙ্গে পরিমিত করুন। ভেজাল দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না। তাতে দুনিয়াতে নিজেদের ক্ষতি হবে, পাপও হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা বলি কৃষক কীটনাশক দেয়। কিন্তু সেটা যখন খাবার টেবিল পর্যন্ত আসে, তা কতটা অনিরাপদ থাকে। এরচেয়ে বেশি খাবারকে অনিরাপদ করা হয় প্রক্রিয়াকরণ ও উৎপাদন পর্যায়ে। এমনকি পরিবারের মানুষ সেটা কেনার পরও অনেক সময় মুখে ওঠা পর্যন্ত সচেতনতার অভাবে অনিরাপদ করে ফেলেন।

 

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের সচেতনতা-সদিচ্ছা না থাকলে শত চেষ্টায়ও খাদ্য নিরাপদ করা যাবে না। এটি দুই-তিনটি মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। কঠোর আইন করে বা এর কঠোর প্রয়োগ করেও সম্ভব নয়। প্রত্যেকের বিবেককে জাগাতে হবে।

 

ব্যবসায়ীদের মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যেটা উৎপাদন করেন, সেটা কি খান? নিজে খাবার উৎপাদন করে, মানুষকে খারাপ খাইয়ে নিজের বাচ্চাদের বিদেশ থেকে এনে খাওয়াবেন, সেটা হবে না। আপনি যা বানান সেটা খাবেন। মানবিক বিষয়টি চিন্তা করবেন। আপনি না খেলেও সেটা হয়তো আপনারই কোনো ভাই বা পরিবারের কেউ খাচ্ছে।

 

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা এখন খুব বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্য প্রাপ্তির এখন কোনো সমস্যা নেই। স্বাধীনতার পর দেশে সাত কোটি মানুষের খাবারের সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন প্রায় ১৮ কোটি মানুষের খাবার নিশ্চিত করেছে সরকার।

 

খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মাছ-মাংস ও দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন উদ্বৃত্ত দেশের পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে এই পণ্যগুলোকে বহুমুখীকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া  হয়েছে। এ ছাড়া ভোক্তার কাছে মান সম্পন্ন মাছ-মাংস ও দুধ পৌঁছানো নিশ্চিতে ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

February 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728