চিকিৎসার জন্য অসহায় শিশুর পাশে দাঁড়ালো সিলেটের কন্ঠ ডটকম

চেম্বার ডেস্ক:: করোনায় ও বন্যাকালীন সময়ে অসহায় গরীব মেহনতি মানুষের সহযোগিতার পাশাপাশি এবার

সিলেটের দক্ষিন সুরমার শীববাড়ির সাত মাসের

এক শিশুর অপারেশনে চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন সিলেটের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেটের কন্ঠ ডটকমের সম্পাদক ও আমেরিকা প্রবাসী মো.জাবেদ আহমদ।

 

আজ বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর সেচ্চাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.গোলাম হাছান চৌধুরীর সার্বিক তত্বাবধানে ও সিলেটের কন্ঠ ডটকমের সহযোগিতায় সাংবাদিক মবরুর আহমদ সাজু নগরীর সোবহানীঘাট মা ও শিশু হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে গেলে সিলেটের কন্ঠর পক্ষ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেছেন শিশুটির

চিকিৎসার দায়িত্বে নেয়া গোলাম হাছান চৌধুরীর কাছে।

 

এসময় শিশুটির মা বাবা কান্নায় জড়িত কন্ঠে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

 

তবে সেচ্চাসেবক লীগ নেতা সাজন বলেন, এই শিশুটি র পরিবার আমাদের পরিচিত। তাই সমাসাময়িক পরিস্থিতি বুঝে কারো কাছে হাত পাততে পারছেন না আবার সইতোও পারছেন না।

 

তিনি জানান, কয়েকদিন আগে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্টাটাস পোস্ট করলে অনেকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন। তবে যে পরিমান অর্থ প্রয়োজন সে পরিমান উঠছে না ফলে পরিবার শিশুটির অপারেশন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

 

শিশুটির বাবা জানান, গোলাপগঞ্জ নিবাসী বর্তমান শিববাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন। মা বাবা’র একমাত্র সন্তান। বয়স মাত্র ৮ মাস। ইতোমধ্যে প্রথমে চোখে পরে মাথায় এবং পেটে ভারতে অপারেশন হয়। বর্তমানে আবারো অপারেশন করতে হবে। তাই প্রচুর টাকা প্রয়োজন।

 

এদিকে চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে গোলাম হাছান চৈাধুরী সাজন বলেন, প্রথমে তিনি চিকিৎসা ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ফলে মোটা অংকের চিকিৎসার জন্য একটু থমকে আছে।

 

তিনি জানান,সবার সহযোগিতা পেলে সুন্দর এই বাচ্চাটি আবারো আলোর মুখ দেখবে। সে জন্য তিনি বিত্তবানদের প্রতি শিশুটির চিকিৎসার জন্য।

 

তবে তাঁর বাবা মা বলেন, অপারেশন পরে বাচ্চাটি কিছুটা সুস্থ আছে। অপারেশন প্যাকেজ ছিল ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা।

 

আরো কিছু দিননগরীর মা ও শিশু ক্লিনিকে থাকতে হবে বিধায় আরো প্রায় ৩৫/৪০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আসবে। এর পরে ভারতে নিয়ে যেতে হবে বাচ্চাকে মাথায় অপারেশন করার জন্য। তখন প্রয়োজন হবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।

 

ইতিমধ্যে ১ লক্ষ টাকা অনুদান এসেছে। যার মধ্যে হাসপাতালে ৫০ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। ভারতে এবং হাসপাতালের অপরিশোধিত বিলের জন্য আপনাদের কাছে আর্থিক সহায়তা চাচ্ছি।

 

শিশুটির মা বাবা জানান,অনেকেই টাকা নানাভাবে খরচ করেন। শিশুটির মায়ের দিকে তাকিয়ে কিছুটা সহায়তা করুন। ভেবে দেখুন ৮ মাসের মধ্যে ৪ বার অপারেশন করেও বাচ্চাটি এখনো বেঁচে আছে!

 

বিকাশ নাম্বার 01712142183 দেখিয়ে তারা বলেন

আপনাদের ভাই, ভাতিজা, ভাগ্না মনে করে বাচ্চাটির ‘মা’ আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাই।

 

উল্লেখ্য: পৃথীবিতে আলোর মুখ দেখেই যে শিশুটি কেঁধে উটেছিল সেই শিশুর কান্নায় সাথে তার মা বাবা চারদিকের আলো বাতাশ নিরবে নিভৃতে কাঁদছে।