জনরায়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় গেলে জনগণ ছেড়ে দেয় না: প্রধানমন্ত্রী
চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনরায়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় গেলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। ভোটের অধিকার যারা কেড়ে নিয়েছিল জনগণ তাদের জবাব দিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত করে।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চোরদের জনগণ রেহাই দেয় না বলেই ভোট চুরির অভিযোগে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কেমন নির্বাচন করেছিল, কত শতাংশ ভোট পড়েছিল। সব জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে, ভোটের বাক্স সিল দিয়ে খালেদা জিয়া তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। খালেদা জিয়া জনগণের ভোট চুরি করেছিল বলে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছিল। সেই সংগ্রামের মধ্যে নাকে খৎ দিয়ে ৩০শে মার্চ খালেদা জিয়া বাধ্য হয়েছিলেন পদত্যাগ করতে। বঙ্গভবনে পদত্যাগ করতে যাওয়ার সময় জনগণের অনুমতি নিয়ে তাকে যেতে হয়েছিল। ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করলে পেছনে লেগে থাকা এক শ্রেণীর মানুষের অভ্যাস। যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা খুনিদের নিয়ে, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সরকার গঠন করে রাষ্ট্রপরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তাদের কিছু প্রেতাত্মা এখনো সমাজে আছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে এবং তারাই এগুলো করে বেড়াচ্ছে। ২০০১ সাল থেকে দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে বিএনপি।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ ব্যবহার করে সরকারের বদনাম করে যাচ্ছে বিএনপি। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত খুনিরা এখনও সক্রিয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়নের চাকা গতিশীল থাকে উল্লেখ করে সকল ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে নেতাকর্মীদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।