সুবর্ণজয়ন্তীর কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিলেন রামনাথ কোবিন্দ

চেম্বার ডেস্ক:: আজ সেই ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালির যুদ্ধজয়ের উচ্ছ্বাস আর আত্মপরিচয় পাওয়ার দিন। অনেক রক্তের বদলে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির দিন। আর এই বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ কুচকাওয়াজ চলছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত হয়েছেন। বিশেষ কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ ৮টি দেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এ কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

এর আগে সূর্যোদয়ের সময় ঢাকার তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ছে। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে ভবনগুলো। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

বিজয় দিবসের ঊষালগ্নে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

সকাল ৭টা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, বিএনপি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাসদ, বাসদ ও ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব ড্যাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দলে দলে স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।

 

এ সময় ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব বয়সী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দেওয়া ফুলে ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদি। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে অনেকে সাভার স্মৃতিসৌধে যান।