সর্বশেষ

» আবার রক্তক্ষরণ হলে খালেদা জিয়ার মৃত্যুঝুঁকি বাড়বে: চিকিৎসক

প্রকাশিত: ২৮. নভেম্বর. ২০২১ | রবিবার

চেম্বার ডেস্ক:: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশের অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসা না দিলে তার জীবন রক্ষা করা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক দলের সদস্যরা।

রোববার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে তার চিকিৎসক দলের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, তার যদি পুনরায় পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে সেটা বন্ধ করার মতো সাপোর্টিং টেকনোলজি আমাদের এখানে নেই। সেক্ষেত্রে উনার রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে।

এ সময় ডা. শামসুল আরেফিন বলেন, আমাদের বডিতে দুটি সার্কুলেশন সিস্টেম আছে। একটা হলো পোর্টাল সার্কুলেশন সিস্টেম, আরেকটা সিস্টেমিক সার্কুলেশন সিস্টেম। লিভারে দুটা সিস্টেমই কার্যকর। লিভারে টোটাল যে ব্লাডটা যায়, তার তিন ভাগের এক ভাগ যায় সিস্টেমিক সার্কুলেশন থেকে। আর তিন ভাগের দুই ভাগ যায় পোর্টাল সার্কুলেশন থেকে।

তিনি আরও বলেন, এখানে যেটা হয়, তার পোর্টাল প্রেসার বেড়ে গেছে। কারণ তার লিভারের ভেতরের নরমাল চ্যানেলগুরো লিভার সিরোটিক প্রোসেসে ডিস্ট্রয় হয়েছে। যে কারণে পোর্টাল প্রেসার বেড়ে যায, সেজন্য যেসব ভেন থাকে খাদ্যনালিতে, সেগুলো ফুসে ওঠে এবং ফেটে যায়। সেজন্য সিভিআর ব্লিডিং হয়। এই সিচুয়েশনে আমরা যেটা করেছি সেটা ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। এটার পরে আবার ব্লিডিং হলে আরও কিছু জিনিস আছে, যেগুলো আমরা করি স্পেশাল কিছু কেমিক্যাল এজেন্ট আছে, সেগুলো ইনজেক্ট করি অনেক সময়। আনফরচুনেটলি সেটা আমাদের দ্বারা সম্ভব হয়নি এবং এখন আমাদের দেশে সেই ওষুধগুলো পাওয়া যায় না।

চিকিৎসক বলেন, তৃতীয়ত যেটা আছে, সেটা হলো সার্বজনিন। সেটা হলো টিপস। লিভারের ভেতরে টোটাল প্রেসার কমানোর জন্য সিস্টেমিক সার্কুলেশন এবং পোর্টাল সার্কুলেশনের মধ্যে একটা কমিউনকেশন করে দেওয়া। এটা একটা হাইলি টেকনিক্যাল কাজ। এটা সচরাচর হয় না। আমাদের দেশে আমি দেখিনি কোনো টিপস করা রোগী এসেছে। যারা আমরা রোগীদের ডিল করি তাদের দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার ব্লিডিং হলে রোগীদের সার্ভাইভ করা কঠিন। সেজন্য এ সেন্টারগুলো মেইনলি আমেরিকা ও ইউরোপ বেজড। স্পেশালি ইউকে-জার্মানি এবং ইউএসএ। এখানে এগুলোর জন্য অ্যাডভান্স সেন্টার আছে। তারা সেখানে করে। তবে সেসব দেশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেই। দু-চারটা সেন্টার আছে। বিশ্বের সব রোগীরা সেসব সেন্টারে যায়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, প্রফেসর ডা. এ কিউ এম মহসিন, প্রফেসর ডা. নূর উদ্দিন, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎক ডা. আল মামুন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930