অরক্ষিত সাদা পাথরের পার্কিং, গাড়ি চুরি হলে দায় কার?
আব্দুল জলিল, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: পর্যটকদের কাছে সিলেট যেন এক প্রিয় নাম। চা বাগান, রাতারগুল, জাফলং, বিছনাকান্দি, সাদা পাথর সেই সাথে শাহজালাল ও শাহপরান (রঃ) এর মাজার। সব মিলিয়ে যেন এক তৃপ্তির ভ্রমণ হয়ে উঠে সিলেটে। সিলেটে যে কয়টি পর্যটন স্পট আছে তার মধ্যে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি স্পট হচ্ছে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। প্রতিদিন প্রায় ৭-১০ হাজার পর্যটকের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠে সাদা পাথর পর্যটন স্পট। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের আগমন হলেও এখানে তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। সাদা পাথর স্পটে পর্যটকদের বসার নেই কোন সুযোগ সুবিধা। প্রচন্ড রোদে তাদের আনন্দ পরিনত হয় বেদনাতে।
এখানে যাও একটা ঘর আছে তা আবার বিজিবির টহল পোস্ট। ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পর্যটকদের সুবিধার জন্য টয়লেট বানানো হয়েছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেটিও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। গাড়ি পার্কিংয়ের নেই কোন সু-ব্যবস্থা। বিশেষ করে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন তাদের অনেকেই স্পটে না গিয়ে ভোলাগঞ্জ ১০নং এরিয়া থেকে আবার ফিরে যান। শুধু মাত্র পার্কিংয়ের সু-ব্যবস্থা না থাকায়। দেখা যায় সেখানে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল আরোহী ঘুরতে আসেন। ১০নং পার্কিং এরিয়ায় তাদের মোটরসাইকেল পার্কিং করার জন্য সরকারি বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় ৩/৪ জন ভাসমান ব্যক্তির কাছে রেখে যেতে হয় তাদের গাড়ি। গাড়ি রাখার জন্য তারা ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত দিলেও বিনিময়ে কোন রশিদ মিলেনা।
এমতাবস্থায় যদি এখান থেকে কারো গাড়ি হারিয়ে যায় তাহলে এর দায় কার? যারা পার্কিং এর নাম করে গাড়ি রাখছেন তাদের? নাকি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পার্কিংয়ের সু-ব্যবস্থা না করায় তাদের? পর্যটকরা দাবি করছেন যদি সরকারের পক্ষ থেকে পার্কিং লিজ দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেন রিসিট সহকারে একটি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এতে করে তাদের গাড়ি পার্কিংয়ে নিরাপদে রেখে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্য বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর পার্কিং লিজ দেওয়া হয়নি। তবে পর্যটকদের সুবিধার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করার চিন্তা করছেন বলেও জানান তিনি।