- বৃহত্তর জৈন্তিয়া কল্যাণ পরিষদের আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
- ইকরা ট্রাভেলস-সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
- ২৩ নভেম্বর সিলেটে জমিয়তের গণসমাবেশ সফল করুন: সিলেট জমিয়ত
- খুনিকে গ্রেফতারে পুলিশের চিরুনী অভিযান|| কানাইঘাটে বন্ধুর হাতে নিহত মুমিনের দাফন সম্পন্ন
- কানাইঘাটে বন্ধু কেড়ে নিল বন্ধুর প্রাণ
- শাহজালাল উপশহরে দারুল আজহার মডেল মাদরাসার বিজ্ঞান মেলা অনুষ্টিত
- লিবিয়ায় নিখোজ ফারহানের সন্ধান চেয়ে কানাইঘাট প্রেসক্লাবে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
- জৈন্তিয়াবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় “বৃহত্তর জৈন্তিয়া উন্নয়ন পরিষদ” গঠিত
- লন্ডন প্রবাসী আব্দুল আলিমের বাড়িতে আবারও হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, আহত ১
- অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিনতা দেবী’র ‘স্টেশনে রোদেলা’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত
» জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত: ০১. সেপ্টেম্বর. ২০২০ | মঙ্গলবার
চেম্বার ডেস্ক:: মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন ওসমানী।
১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ’৭০-এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারে ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
ওসমানীর নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। রণনীতির কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন।
পাকিস্তানি বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানী উপস্থিত না থাকার কারণ ছিল আর্মি প্রটোকল। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সৈন্যবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজী। এরা দুজনেই ছিলেন আঞ্চলিক প্রধান। অন্যদিকে, ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান। তাই সেনাবাহিনীর প্রটোকল রক্ষার্থে কোনো সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক প্রধানের সঙ্গে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন না। ওসমানি নিজেই এ বিতর্কের জবাব দিয়ে গেছেন।
১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেল পদমর্যাদা প্রদান করা হয় এবং তিনি নব দেশের প্রথম সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্তি পান। ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি তার এ দায়িত্ব থেকে অবসর নেন, মন্ত্রিসভায় যোগ দেন অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে।
১৯৭৩ সালের মার্চে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ওসমানী তার নিজের এলাকা থেকে অংশ নেন এবং নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেন। তিনি ডাক, তার, টেলিযোগাযোগ, অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন।
১৯৭৪ সালের মে মাসে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। সে বছর ২৯ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান, তবে ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর পদত্যাগ করেন।
১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওসমানী ‘জাতীয় জনতা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এম এ জি ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে সমাহিত করা হয়।
এদিকে, ওসমানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ সিলেটে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল মাজার সংলগ্ন ওসমানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ। সকাল ১১টায় সিলেটের প্রবেশদ্বারে বঙ্গবীর ওসমানী স্মরণীতে বঙ্গবীর ওসমানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ১ পর্যন্ত হযরত শাহজালাল (রা:) মাজার প্রাঙ্গণে খতমে কোরআন। বাদ জোহর হযরত শাহজালাল ( রা:) মাজার মসজিদে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মিলাদ শরিফ ও দোয়া মাহফিল শেষে জাতীয় নেতার কবর জিয়ারত এবং ফাতেহা পাঠ।
কর্মসূচিতে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বঙ্গবীর ওসমানীর অনুসারী, অনুগামী শুভাকাঙ্ক্ষী সুধীজন, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্মানিত নেতাকর্মীদের সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি সৈয়দ আহমদ বহলুল।
সর্বশেষ খবর
- বৃহত্তর জৈন্তিয়া কল্যাণ পরিষদের আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
- ইকরা ট্রাভেলস-সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
- ২৩ নভেম্বর সিলেটে জমিয়তের গণসমাবেশ সফল করুন: সিলেট জমিয়ত
- খুনিকে গ্রেফতারে পুলিশের চিরুনী অভিযান|| কানাইঘাটে বন্ধুর হাতে নিহত মুমিনের দাফন সম্পন্ন
- কানাইঘাটে বন্ধু কেড়ে নিল বন্ধুর প্রাণ
সর্বাধিক পঠিত খবর
- কানাইঘাটে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত, গ্রেফতার-১
- ফের বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশ ভিসা দেওয়া শুরু, রয়েছে নানা শর্ত
- আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি মাহফুজের, ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম
- কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে আহত,থানায় অভিযোগ দায়ের
- কানাইঘাটে ৫০ উর্ধ্ব মহিলার যৌন হেনেস্থার ভিডিও যে ভাবে ধারণ করে বখাটেরা
এই বিভাগের আরো খবর
- পুলিশের এসআই মাজিদুলের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ!
- অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠক
- জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস : ছাত্রজনতার স্বপ্নপূরণে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ
- সব দাবি পূরণ করা হয়েছে, ঘরে ফিরে যান: শিক্ষার্থীদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী