জো বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ

চেম্বার ডেস্ক:: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে ডিসেম্বরে গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এ সম্মেলনে ১১০টির বেশি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও পাকিস্তান আমন্ত্রণ পেলেও এ আয়োজনে বাদ পড়েছে বাংলাদেশ।  যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা সব মিত্র দেশও এ আমন্ত্রণ পেয়েছে।

 

এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়া ১১০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

অবশ্য বাংলাদেশের মতো সম্মেলনে আমন্ত্রণের তালিকায় স্থান পায়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীন। তবে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া চীনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো মিত্র তুরস্কও এ সম্মেলনের আমন্ত্রিত দেশগুলোর তালিকায় স্থান পায়নি।

 

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, পুরো মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েল ও ইরাক ছাড়া আর কোনো দেশই যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণ পায়নি। অর্থাৎ মিসর, সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী আবর মিত্র দেশগুলোকে সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ভার্চ্যুয়াল এ গণতন্ত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া ব্রাজিলকে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে এখন কট্টর ডানপন্থি এক প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় রয়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসেনারোকে স্বৈরশাসক হিসেবে সমালোচনা করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক হিসেবে গণ্য করা হয়।

 

এদিকে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ইউরোপ থেকে পোল্যান্ডকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে। তবে হাঙ্গেরিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

 

অন্যদিকে আফ্রিকা থেকে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো), দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া এবং নাইজারকে সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা থেকে বিচ্যুতি ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আমন্ত্রিত নেতাদের অনেককে নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। কারণ ওই নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধেই একনায়কতন্ত্র চর্চার অভিযোগ রয়েছে।