সর্বশেষ

» প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ জড়িত নয়

প্রকাশিত: ১৯. নভেম্বর. ২০২১ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক:: বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি সরকারি ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরীক্ষা পরিচালনার সুযোগ না দিতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাঁচটি ব্যাংকের ‘অফিসার (ক্যাশ)’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ছিল আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএসসিএস ওই পরীক্ষা বাতিল করেছে। আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আরও দুটি পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় তা ইতোমধ্যে স্থগিত করেছে বিএসসিএস।

 

আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরীক্ষা পরিচালনার সুযোগ না দেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং অধিকতর তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।সিসিটিভি অপারেটর’ পদে ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর  অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাবুদ এবং মো. আলমাস আলীকে চলতি বছরের ১৩ জুন সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং অভিযোগের সার্বিক বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হবার পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়। এ জাতীয় সেবা ক্রয়/গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রচলিত সব বিধি-বিধান স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিপালন নিশ্চিত করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের নির্বাহী কমিটির অনুমোদক্রমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের কোনো পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আহছানউল্লাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পত্রিকায় যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-১ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম পরিচালনা করে। অপরদিকে বিএসসিএস শুধুমাত্র সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের লোকবল নিয়োগের জন্য নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-১ এবং বিএসসিএস দুটি আলাদা প্রশাসনিক ইউনিট, যা দুজন ভিন্ন ভিন্ন ডেপুটি গভর্নরের ওপর ন্যস্ত রয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে তারা আলাদাভাবে কাজ করেন। তাই এ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একে অপরের কাজে প্রভাবিত করার কোনো এখতিয়ার বা সুযোগ নেই। সুতরাং এ বিষয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে, তা-ও সঠিক নয়।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930