শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ
চেম্বার ডেস্ক::অপেক্ষার পালা শেষ। মাঠে গড়ানোর প্রতিক্ষায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দু’দলের প্রথম ম্যাচ শুক্রবার দুপুর ২টায়। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এই সিরিজ দিয়ে টিম টাইগার শোনাবে নতুন দিনের গান। সিনিয়রদের শূন্যতা অনূভব নয়, বরং তরুণদের ওপরই ভরসা রাখছেন বাংলার কাপ্তান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্যদিকে ঘরের মাঠে টাইগারদের সমীহ করছেন, পাকিস্তান দলপতি বাবর আজম।
পরিবর্তনের স্লোগান, ২২ গজে তারুণ্যের নব আহ্বান। এ যেন ভিন্ন এক বাংলাদেশের গল্প। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এই দলটাকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। জবাবটা ক্রিকেটারদের এবার ব্যাটে-বলে দেওয়ার পালা। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই হয়তো বাড়তি রোমাঞ্চ। আর ডমিঙ্গোর জন্য হয়তো শেষ সুযোগ।
শেষ দিনের অনুশীলনেও বাংলাদেশ ক্যাচ-ফিল্ডিং-ব্যাটিং নিয়ে আলাদা কাজ করেছে। নিজ শক্তি স্পিনেই হয়তো ভরসা রাখবে ম্যানেজমেন্ট। সিনিয়র-জুনিয়র কিংবা পঞ্চপাণ্ডব তত্ত্ব নয়, দলে যারা আছেন তাদের ওপরই ভরসা, কাপ্তান রিয়াদের।
টাইগারদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো অনুপ্রেরণা দিচ্ছে রিয়াদকে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশের খেলা দেখে আপনারা এত হতাশ হন কেন? আমি হতাশা দেখতে চাই না। কয়েকটা খেলা তারা চমৎকার খেলেছে। ক্রিকেট খেলছেন কখনো, মাঠে গেছেন কখনো? ব্যাট-বল ধরেছেন? ধরেননি। সেজন্য জানেন না। সবসময় যে ব্যাটে-বলে লাগবে, আর ছক্কা হবে এটা সবসময় সব অঙ্কে মেলে না।
এসব নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ বলেন, বিষয়টি দেখেছি এবং শুনেছি। আলহামদুলিল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। তার এই কথাটা আমাদের আরও অনেক প্রেরণা যোগাবে। সত্যি কথা বলতে, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ইতিবাচক একটা কথা। আর উনি আমাদেরকে যেভাবে অনুপ্রেরণা দেন, সমর্থন দেন, আগলে রাখেন, সেটা অবিশ্বাস্য।
অন্যদিকে বিশ্বকাপে উড়তে থাকা পাকিস্তান জানে, নিজেদের ডেরায় টিম টাইগারের থাবার ধার। তাই তো হালকাভাবে দেখার নেই কোনো সুযোগ। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও তাই মনে করছেন। তিনি বলেন, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কখনই সহজ প্রতিপক্ষ নয়। অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে তারা সিরিজ হারিয়েছে। তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা জানি। তবে বিশ্বকাপে যেভাবে খেলেছি আশা করছি সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবো।
এ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে মিরপুরের সবশেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারানোর আত্মবিশ্বাস।