কুয়েত সরকারের পদত্যাগ

চেম্বার ডেস্ক:: আমিরের কাছে পদত্যাগপত্র দাখিল করেছে কুয়েত সরকার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আলকাবাস ও আল-রাইয়ে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

 

রাজস্ব সংস্কার নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘ অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সোমবার (৯ নভেম্বর) সরকারের এই পদত্যাগ সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কোন্দলের জেরে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহের নেতৃত্বাধীন সরকার পদত্যাগ করেছে।

 

উপসাগরীয় দেশটির সবক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নেন আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ। তবে মন্ত্রিসভার পদত্যাগে তিনি সায় দেবেন কিনা; তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে জানুয়ারিতে একটি মন্ত্রিসভা সরে দাঁড়ানোর পর মার্চে নতুন সরকার গঠন করা হয়েছিল। করোনা মহামারি ও দুর্নীতি সামলানোসহ সরকারের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বেশ কয়েকজন বিরোধীদলীয় এমপি প্রশ্ন তুলেছেন।

এদিকে বিরোধীদের সঙ্গে কোন্দলের জেরে আইনসভার কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল। এতে ওপেক সদস্য দেশটির অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। মহামারি ও তেলের মূল্য কমে যাওয়া কুয়েতের অর্থনীতিতে মারাত্মক আঘাত হেনেছে।

 

বৈশ্বিক বাজারকে ধরতে ঋণ আইনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া নিয়েও বিরোধীদের সঙ্গে সরকারের দ্বন্দ্ব চলছিল। মন্ত্রিসভা ও আইন পরিষদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে গেল কয়েক দশকে সরকারের পুনর্বিন্যাস ও পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হয়েছে।

 

২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ সাবাহ। কুয়েতে কোনো রাজনৈতিক দল না থাকলেও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর চেয়ে তাদের আইনসভাকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।