প্রথম বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্কটিশ পার্লামেন্টে শেখ হাসিনা
চেম্বার ডেস্ক:: স্কটিশ পার্লামেন্ট বক্তব্য রেখেছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তথা রাজনীতিবিদ যিনি এই সম্মানে ভূষিত হলেন। মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে স্কটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রথম দেখলাম বিশ্ব নেতারা সংকট মোকাবেলায় একসাথে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র কোভিডের বাস্তবতার কারণে। আমি এর আগে কখনো বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একসাথে কাজ করার কোনো তাড়না দেখিনি।
স্কটিশ পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি এমপি ফয়ছল চৌধুরী এমবিই’র আয়োজনে এবং স্কটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার আলিশন জনসনের আমন্ত্রণে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কটিশ সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনা কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
১৫ মিনিটের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমেই ধন্যবাদ জানান ফয়ছল চৌধুরী এমবিইকে এমন আয়োজন করার জন্য। এছাড়া স্কটিশ জনগণের আতিথেয়তায় তিনি মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের গত ১ দশকের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। সেই সাথে বাংলাদেশের আগামী দশকের কর্ম ও উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে ধারনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, আমরা গ্লাসগোতে এসেছি সারা পৃথিবী মিলে পরিবেশ ও জলবায়ু উন্নয়নে একটি টেকসই পন্থা খুঁজে বের করার জন্য। সম্প্রতি আইপিসিসি সিক্স এসেসমেন্ট রিপোর্টের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে উষ্ণতা বেড়েছে মারাত্মক, আমাদের পৃথিবীকে উষ্ণতা থেকে রক্ষা করতে হবে। মানুষের সৃষ্টি পরিবেশ বিপন্নতার জন্য বাংলাদেশের মতো দেশগুলো মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা মাত্র শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ অবদান রাখছি উষ্ণতা বৃদ্ধিতে কিন্তু পৃথিবীর বড় বড় দেশের জন্য আমাদের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে মারাত্মক।
তিনি বলেন, নিজস্ব তহবিলে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। ৪৮০ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ সরকার ৮০০ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে জলবায়ু রক্ষার গবেষনার জন্য। বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যানে জলবায়ু রক্ষার জন্য বিশদ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা স্কটিশ পার্লামেন্টের বক্তব্যে জলবায়ু সম্মেলনে যে ৪টি প্রস্তাব দিয়েছেন সেই প্রস্তাবও তুলে ধরেন। সব শেষে তিনি বাংলায় উপস্থিত স্কটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির সবাইকে ধন্যবাদ জানান।