দক্ষিণ সুরমার শফিক হত্যা মামলার চার্জশিট: প্রবাসী কবি শেখ আদনানও অভিযুক্ত

চেম্বার প্রতিবেদক::  দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার আলোচিত শফিক হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট প্রদান করেছে
দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। চার্জশিটে এজহারভুক্ত ৬ জন আসামীর সাথে নতুন করে প্রবাসী কবি ও অনলাইন এ্যাকটিভিটিস শেখ আদনানকে সম্পৃক্ত করে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সিলেট দায়রা জজ আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত ছয়জন আসামীর সঙ্গে প্রবাসী কবি শেখ আদনানের নাম নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে।

এই মামলায় পূর্ব থেকে অভিযুক্ত ছয় আসামি ছিলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মকবুল আলীর ছেলে হাসান (৩৪), ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া গ্রামের আব্দুল হাসিবের ছেলে এমরান মিয়া (২৬), সিলেট সদর উপজেলার মৃত সাত্তার মিয়ার সন্তান এমএ হান্নান (২৮), দক্ষিণ সুরমা উপজেলার আলী হায়দরের ছেলে সাব্বির আহমদ (২৮), দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার হারিছ মেম্বারের ছেলে জাফর আলী (২৯) এবং সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের গোলাম রব্বানীর ছেলে আরিফুল ইসলাম জুয়েল (৩০)। কিন্তু পুলিশ নতুন করে এ মামলায় প্রবাসী কবি শেখ আদনান ওরফে ইমাম সাদিক আদনানকে যুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করেছে।
এদিকে, শেখ আদনানের পিতা আজমান আলী নিউজচেম্বারকে বলেন, আমার ছেলে মেধাবী ছাত্র শেখ আদনান স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে সুইডেনে অবস্থান করছে। দক্ষিণ সুরমার আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার নূন্যতম কোনো সম্পর্ক নেই। গত ৬ বছর পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে। আমি অবিলম্বে এ মামলার চার্জশিট থেকে তার নাম প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ সুরমা কলেজের পাশে মোগলাবাজার থানার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শফিকুর রহমান শফিকের উপর অতর্কিত হামলা করে সন্ত্রাসীরা। হামলায় শফিকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এলাকাবাসী দ্রুত তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের কারণে পথিমধ্যেই শফিক মারা যান বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান।
এ ঘটনায় শফিকের বড় ভাই রফিক বাদী হয়ে মোগলাবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সম্প্রতি নতুন করে সেই খুনের মামলায় কবি শেখ আদনানকে জড়ানো হয়েছে।
এতে করে মামলাটির সঠিক বিচারকার্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।