বিয়ানীবাজারে সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবসায়ী আহত
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : বিয়ানীবাজার উপজেলার কাকুরা দিঘীরপাড় এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার নাম জুবের আহমদ। তিনি কাকুরা দিঘীরপাড় এলাকার চক্রবাণী গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় দিঘীরপাড় বাজারের একজন ব্যবসায়ী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ীতে ফেরার পথে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী যুবলীগের নেতা মো: সরোয়ার হোসেন চৌধুরী ও তার বাহিনীর নৃশংস হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে আজ শুক্রবার বিকেলে তাকে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী জুবের আহমদ। কিছু দূর যাওয়া মাত্র স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো: সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই সময় তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন থেকে জায়গা-জমি নিয়ে যুবলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরী ও ব্যবসায়ী জুবের আহমদের পরিবারের মাঝে দ্বন্ধ চলে আসছিলো। এছাড়াও তার পরিচালিত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন থেকে সারোয়ার ও তার বাহিনী চাঁদা দাবী করে আসছে। কিন্তু ব্যবসায়ী জুবের আহমদ চাদা দিতে বার বার অস্বীকৃতি জানালে সারোয়ার বাহিনী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে সারোয়ার বাহিনীর হাসান, মাছুম, সুমন ও ইমনসহ এক দল সন্ত্রাসী তার উপর অতর্কিত হামলা করে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতে জুবের আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ানীবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হামলাকারী ক্ষমতাসীন আওয়ামী যুবলীগ নেতা হওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে।