সরকারের ধারাবাহিকতায়ই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। মহামারির কারণে উন্নয়নের গতি কিছুটা কমে গেলেও দেশ থেমে থাকেনি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকের সন্দেহ থাকতে পারে উন্নয়নশীল দেশ হলে বোধ হয় অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো। আসলে যেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো তার চেয়ে বেশি সুবিধা আমরা পাব। আমাদের বাণিজ্য বাড়বে, রফতানি বাড়বে, রফতানি সুবিধা পাব।
তিনি বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস হবে সবচেয়ে বড় রফতানি পণ্য। পাট ও পাটজাত পণ্যও আমরা রফতানি করতে পারি। আমাদের দেশে বিনিয়োগ হবে, তেমনি আমরাও বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবো। সে ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরও বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সব পণ্য প্রদর্শনীসহ সব আয়োজন এখানে করে এই এক্সিবিশন সেন্টার সচল রাখবেন এবং এর যথোপযুক্ত ব্যবহার করবেন বলে আশা করি।
এ প্রদর্শনী কেন্দ্রটি বছরব্যাপী বিভিন্ন পণ্যভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আর এখন থেকে এখানেই স্থায়ী প্লাটফর্মে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সরকার ২০১৫ সালে রাজউকের পূর্বাচলে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর অনুকূলে প্রথমে ২০ একর এবং পরে আরও ৬ দশমিক ১ একর জমি বরাদ্দ দেয়। সেখানে চীন সরকারের প্রকল্প সহায়তায় সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই সুপরিসর এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেন্টারটি নির্মাণে জমির মূল্যসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৮১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার ব্যয় করেছে ৫২৬ কোটি টাকা।
বাণিজ্যমেলার নতুন এই স্পট দেখতে যেতে না পারা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে বাণিজ্যমেলার এই নতুন স্পটটা দেখে আসতে পারিনি। তবে ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে, সেটা বাস্তবায়ন করেছি বলেই আমরা আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই এক্সিবিশন সেন্টার উদ্বোধন করছি।’
রফতানি মেলা, বাণিজ্য মেলা, রফতানিকারকদের সম্মেলন, ক্রেতা-বিক্রেতা মেলা এবং অন্যান্য বাণিজ্য বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড আয়োজনের মাধ্যমে পূর্বাচলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে’র সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বক্তব্য রাখেন।