বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সারাবিশ্বে তুলে ধরার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
চেম্বার ডেস্ক:: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস এবং অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সারাবিশ্বে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভবনে ‘বাংলাদেশ ১৯৭১: শোক ও সকাল’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনের সময় এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, বাঙালির সুদীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম এবং গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের অপ্রকাশিত আলোকচিত্র খুঁজে বের করে আমাদের নতুন প্রজন্ম এবং বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি আলোকচিত্রী মার্ক রিবুর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন তোলা বাছাই করা ৫০টি আলোকচিত্র নিয়ে মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি সোম থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মোমেন প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
মার্ক রিবুর দুর্লভ এই আলোকচিত্রগুলো সংগ্রহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, বিভিন্ন দেশে অনুসন্ধান করে আমাদের মুক্তিসংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের অপ্রকাশিত ও দুর্লভ আরও আলোকচিত্র ও ভিডিওচিত্র খুঁজে পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বশান্তি এবং শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের কথা উল্লেখ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে স্থাপিত মুজিব কর্নারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ সারাবিশ্বের মানুষ আরও ভালোভাবে জানতে পারবে।
উদ্বোধনের পর প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য বইতে উল্লেখ করেন, মার্ক রিবুর তোলা এই ছবিগুলো মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির ত্যাগ, সংগ্রাম ও দৃঢ়চিত্তের প্রতিচ্ছবি। এই আলোকচিত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা ঘটনা জানার পাশাপাশি গবেষণায় অনুপ্রেরণা যোগাবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যঁ মারা সু , মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ডা. সারওয়ার আলী এবং সারা যাকের উপস্থিত ছিলেন।