আশুরার রোজার মর্যাদা || রায়হান রাশেদ

রায়হান রাশেদ: রমজানের রোজার প্রতিদান দেবেন আমাদের পালনকারী প্রভু আল্লাহ। রমজানের রোজার পরই আশুরার রোজার স্থান। তার মর্যাদা ফরজ রোজার পরই।

 

আশুরার রোজা উত্তম রোজা। সম্মানের উপবাস। ইতিহাস সম্পর্কিত সিয়াম। তাৎপর্য সংবলিত সিয়াম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূল (সা.) বলেন, ‘রমজানের পরে সর্বোত্তম সিয়াম হল মহররম মাসের সিয়াম অর্থাৎ আশুরার সিয়াম। এবং ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাতের নফল সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত’। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৪২১)।

 

ইসলাম ধর্মে ভালো কাজের মর্যাদা অনেক। হাদিসে এসেছে, ‘অল্প আমল নাজাতের জন্য যথেষ্ট’। সামন্য ভালো কাজের মাধ্যমে আমলনামায় যুক্ত করা যায় দেদার সওয়াব। নেকির প্রাপ্তিতে ভারী হয়ে যায় আমলের পাল্লা। আশুরার রোজা পালনে বান্দার আমলের খাতা ভরে যায় পুণ্যে।

 

প্রশান্তি আসে অস্থির মনে। কাফ্ফারা হয়ে যায় যাপিত বছরের গোনাহের। একদিনের উপবাসে মানবজীবন হয় গোনাহ মাফে পাপমুক্ত।

 

কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূল (সা.) বলেন, ‘আমি আশা করি, আশুরা বা দশই মহররমের রোজা আল্লাহর কাছে বান্দার বিগত এক বছরের (ছগিরা) গোনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গণ্য হবে’। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২০৪৪)।